• ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

যাদুকাটা সেতু: তিন বছরের কাজ পাঁচ বছরেও শেষ হতে সংশয়

admin
প্রকাশিত ডিসেম্বর ২২, ২০২২
যাদুকাটা সেতু: তিন বছরের কাজ পাঁচ বছরেও শেষ হতে সংশয়

Sharing is caring!

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের জাদুকাটা নদীর উপর নির্মিতব্য সিলেট বিভাগের দীর্ঘ সেতুর কাজ চলছে ডিমেতালে। সেতুর কাজের মেয়াদ (তিন বছর) শেষ হয়েছে গেল ডিসেম্বর মাসেই। কাজের বর্ধিত সময়ও শেষ হয়েছে গেল জুন মাসে। এখনো সেতুর অনেক কাজ বাকী। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, যে গতিতে কাজ চলছে, আগামী তিন বছরেও শেষ হবে না গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুর কাজ। দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের বৃহৎ শুল্কবন্দর বড়ছড়া, চারাগাঁও এবং বাগলিকে সড়ক পথে যুক্ত করা। তাহিরপুর সীমান্তের টাঙ্গুয়ার হাওর, শহীদ সিরাজ লেক (নিলাদ্রী লেক), শিমুল বাগানসহ পর্যটন আকর্ষনীয় স্থানগুলোর সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করার লক্ষে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক দরপত্রের সকল প্রক্রিয়া শেষে ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে ৭৫০ মিটার দীর্ঘ যাদুকাটা সেতুর কাজ শুরু হয়েছিল। সেতুটি নির্মাণ হচ্ছে তাহিরপুরের বাদাঘাট ইউনিয়নে। একপাড়ে ইউনিয়নের গড়কাটি (উত্তর মাথা) এবং আরেকপাড়ে বিন্নাকুলি গ্রামের উত্তর মাথার অংশ। শুরুর দিকে এর নির্মাণ ব্যয় ছিল ৮৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। সেতুর কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে গেল বছরের ডিসেম্বর মাসে। এরপর সেতুর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তমা কন্সট্রাকসন আরও ছয় মেয়াদ বাড়ায়। ওই সময়কালেও কাজের কাজ কিছুই হয় নি। গেল জুনের বন্যার পর কর্ম এলাকায় ঠিকাদারের দেখভালকারী দু-চার জন শ্রমিক ছাড়া কেউ-ই নেই। এরা কেবল পাহাড়া দেন। তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সেতুর পাশের গ্রাম ঘাগটিয়ার বাসিন্দা মোশারফ মিয়া বললেন, শুরু থেকে সেতুর কাজে ধীর গতি আছে। গেল বন্যার পর আর কাজই হচ্ছে না। তাহিরপুরের বাদাঘাটসহ সীমান্ত এলাকার মানুষের স্বপ্নের সেতু এটি। এই সেতু চালু হলে সুনামগঞ্জের অর্থনীতির চিত্র পাল্টে দেবে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন বললেন, কাজে ধীরগতি আছে। প্রাকৃতিক কারণেও কিছুটা পিছিয়েছে। এলাকার মানুষের দাবি আছে দ্রæত সেতুর কাজ শেষ করার। এই সেতু সীমান্তবাসীর আশা জাগানিয়া উন্নয়ন। তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বললেন, সেতুর নির্মাণ কাজ শেষে বিশ্বম্ভরপুরের কারেন্টের বাজার থেকে যাদুকাটা সেতু পর্যন্ত সড়ক, ওপারে সুন্দর পাহাড়ী হয়ে সীমান্ত সড়কের সঙ্গে সংযোগ সড়ক এবং সেতুর অ্যাপ্রোচ থেকে বাদাঘাট পর্যন্ত সড়কের কাজ হলে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক জোন হবে বাদাঘাটসহ সীমান্ত অঞ্চল। তমা কন্সট্রাকসনের পক্ষে যাদুকাটা সেতু’র কাজ দেখভালকারী প্রকৌশলী নাছির উদ্দিন বললেন, বন্যায় নদীর মাঝখানের স্ট্রেজিং (গার্ডার করার মঞ্চ) ওয়াস আউট হয়েছিল।। আরও নানা প্রয়োজনীয় উপকরণ নষ্ট হয়েছে। এ কারণে গত কয়েক মাস হয় কাজ কম হচ্ছে। আগামী সপ্তাহ থেকে কাজ শুরু হবে। সুনামগঞ্জ এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বললেন, কাজটি দ্রæত আদায়ের চেষ্টা হচ্ছে। বন্যায় ষ্ট্রেজিং ওয়াস আউট হওয়ায় সময় নষ্ট হয়েছে। এখন নদীতে পানি বেশি আছে। এ কারণে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। আশ করছি আগামী মাসের প্রথম দিকেই সেতুর কাজ শুরু হবে।

৪৮৯ পড়েছেন