• ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

ছেলে জঙ্গিবাদে জড়ানোর বিষয়টি স্বীকার করেছেন জামায়াত আমির

admin
প্রকাশিত ডিসেম্বর ২২, ২০২২
ছেলে জঙ্গিবাদে জড়ানোর বিষয়টি স্বীকার করেছেন জামায়াত আমির

Sharing is caring!

সিলেট এইজ ডেস্ক: নিজ ছেলে জঙ্গিবাদে জড়ানোর বিষয়টি স্বীকার করেছেন জামায়াত আমির ছেলে জঙ্গিবাদে জড়ানোর বিষয়টি স্বীকার করেছেন জামায়াত আমির নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সঙ্গে ছেলে ডা. রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহ জড়ানোর বিষয়টি জিজ্ঞাসাবাদে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান স্বীকার করেছেন বলে দাবি করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি)। বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন সিটিটিসি প্রধান আসাদুজ্জামান। ডিএমপি’র সিটিটিসি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান দাবি করেছেন, ছেলে জঙ্গিবাদে জড়িয়েছেন সেটি জানতেন তিনি (ডা. শফিকুর)। এরপরও তিনি নীবর ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাননি। নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সঙ্গে সংগঠন হিসেবে জামায়াতের সংশ্লিষ্টতা খুঁজতে তাকে আরও তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

শক্ত কোনো তথ্য-প্রমাণ আপনারা পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে সিটিটিসি প্রধান বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের যে সংজ্ঞা সে অনুযায়ী, তাঁর ছেলে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে যাচ্ছে, তিনি সেটা জানতেন, কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাচ্ছেন না সেটিও কিন্তু অপরাধ। তাঁর ছেলে হিজরত করেছে, তাঁর ছেলে একটা গ্রুপসহ বান্দরবানের পাহাড়ের উদ্দেশ্যে রওনা করেছেন। কিন্তু যেতে না পেরে বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তাকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার সকল ব্যবস্থা তিনি করেছেন। এটা সন্ত্রাসবাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা।অনেককেই জঙ্গিবাদ থেকে ফিরিয়ে আনার বা আসার সুযোগ আপনারা দিয়েছেন। অনেক উদাহরণ আছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে আসাদুজ্জামান বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি মনে করে এই ছেলে জঙ্গিবাদ থেকে স্বাভাবিক জীবরে ফিরে আসতে চায়, পরিবার আবেদন করে তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া যেতো। কিন্তু বাবা ডা. শফিকুর রহমানই তো জানতেন ছেলে জঙ্গিবাদে জড়িয়েছেন। কিন্তু তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাননি। পুরো বিষয়টি তিনি গোপন করেছিলেন। আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পালানো দুই জঙ্গি কোথায় জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান বলেন, এটা বলার এখনো সময় আসেনি। দেশেই আছে, এখনো দেশ থেকে পালাতে পারেনি।

উল্লেখ্য যে, জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততার অভিযোগে জামায়াত আমীরের ছেলে ডা. রাফাতকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির সিটিটিসি’র বোম ডিসপোজাল ইউনিট। গত ৯ নভেম্বর দুপুরে সিলেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সিটিটিসি’র দাবি, গ্রেপ্তার ডা. রাফাত চৌধুরী নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সিলেট অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করছিল। নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা, ছেলের জড়ানো, ছেলেসহ জড়িতদের হিজরতে ব্যয়ভার বহনের অভিযোগ তুলে জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানকে গত ১৩ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি। সেদিন দুপুরে সিটিটিসি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, জামায়াত আমীর তাঁর ছেলে ডাক্তার রাফাত নতুন জঙ্গি সংগঠনে জড়িয়েছেন এটা জেনেও সমর্থন দিয়ে গেছেন। ছেলে পরে সিলেট অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হোন। নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’য় জড়ানো অনেকেই শিবিরের সাথি, কর্মী ছিলেন। তাদের হিজরতের খরচও দিয়েছেন জামায়াত আমীর।

১৩৫ পড়েছেন