• ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সৎ ও যোগ্য কাম্য

admin
প্রকাশিত ডিসেম্বর ২৪, ২০২২
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সৎ ও যোগ্য কাম্য

Sharing is caring!

সম্পাদকীয় : রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ দেশের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন। আশা করা হচ্ছে, সম্মেলনে সারা দেশ থেকে প্রায় সাত হাজার কাউন্সিলর এবং লক্ষাধিক প্রতিনিধি ও অন্যান্য নেতাকর্মী অংশ নেবেন। আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন সাধারণত দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তবে এবার বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার পরিপ্রেক্ষিতে কৃচ্ছসাধনের অংশ হিসাবে সম্মেলন একদিনে কমিয়ে আনা হয়েছে। একই কারণে এবার বিদেশিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তবে সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ১৪ দল, জাতীয় পার্টি, বিএনপিসহ নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। জানা গেছে, এবারের সম্মেলনে ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হবে। বিষয়টি সামনে রেখে সম্মেলনের ¯েøাগান নির্ধারণ করা হয়েছে-‘উন্নয়ন অভিযাত্রায় দেশরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়’। এ দেশের রাজনীতিতে, বিশেষত গণতন্ত্রচর্চার প্রশ্নে আওয়ামী লীগের সম্মেলন সবসময়ই একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসাবে বিবেচিত হয়ে থাকে। এ দলটির বেশকিছু ইতিবাচক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর একটি হলো, ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে কখনোই অসাংবিধানিক পথে পা বাড়ায়নি এ দল। দ্বিতীয়ত, এ দেশের গণতন্ত্র যখনই হুমকির মুখে পড়েছে, যখনই সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথাচাড়া দিয়েছে, তখনই অগণতান্ত্রিক ও সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন এ দলের নেতাকর্মীরা। স্বাধীনতা-পূর্ব অখ পাকিস্তানে দীর্ঘ দুই দশক নিরবচ্ছিন্ন আন্দোলনের পর সবশেষে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করার কৃতিত্ব দলটিকে করেছে গৌরবান্বিত। আওয়ামী লীগের এবারের সম্মেলন এমন একটি সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে। তাই দলের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে এ বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে, এটাই স্বাভাবিক। এ পরিপ্রেক্ষিতে ধারণা করা হচ্ছে, নেতারা যাতে সাংগঠনিক কাজে ভালোভাবে মনোযোগ দিতে পারেন, সেজন্য এবারের সম্মেলনে সরকার ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব আলাদা করতে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ যোগ্য, সৎ ও গতিশীল নেতৃত্বে আরও সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে, এটাই আশা করেন দলের শুভাকাঙ্ক্ষীরা। নেতৃত্ব বাছাইয়ের ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিই সবচেয়ে কার্যকর। জানা গেছে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য এবারও একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। দলের তৃণমূল থেকে শুরু করে উচ্চপর্যায় পর্যন্ত নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে বলেই জনগণ আশা করে। ঘোষণাপত্রে মানুষ নতুন কিছু পাওয়ার অপেক্ষায় আছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, নেতৃত্ব নির্বাচনে এমন কিছু যেন না ঘটে, যাতে দলের সংহতি নষ্ট হয়। ঐক্য ও সংহতি একটি রাজনৈতিক দলের প্রাণশক্তি। বিশেষত দলের সাধারণ সম্পাদক পদটি যাতে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে অবশ্যই। মনে রাখতে হবে, মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনই মূল বিষয়। সম্মেলনের শৃঙ্খলা ও সৌন্দর্যের প্রতিও বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। আমরা আওয়ামী লীগের ২২তম সম্মেলনের সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করছি।

৬০৫ পড়েছেন