Sharing is caring!
সিলেট এইজ : শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে আলমি শূরার তত্ত্বাবধানে বিশ্ব তাবলিগ জামাতের ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ইজতেমাকে সামনে রেখে এখন লাখো মুসল্লির পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে তুরাগ নদের পূর্বতীর।শুক্রবার ইজতেমার মূল কার্যক্রম শুরু হলেও বুধবার থেকেই লাখ লাখ দেশি-বিদেশি ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ময়দানে তাদের নিজ নিজ খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন। বুধবার দুপুরে ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের মেহমানগণ ময়দানে প্রবেশ শুরু করেছেন।ভারতের কলকাতা থেকে ২শ জন সাথি নিয়ে এসেছেন মুফতি আব্দুল আলিম (৬৫)। এবার বিশ্ব ইজতেমা আয়োজন করায় বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, দুনিয়ার জিন্দেগি কিছুই না। পরকালের জিন্দেগি হলো আসল জিন্দেগি। তাই পরকালের জিন্দেগিকে সফলকাম করতে ইবাদত বন্দেগি করার জন্য টঙ্গী ময়দানে এসেছি।১১ জনের একদল সাথি নিয়ে ভারতের গুজরাট থেকে এসেছেন আবু হানিফ (৬৫)। পাকিস্তান থেকে আব্দুল মুন্নাফের (৬০) নেতৃত্বে ৮ জনের একদল মুসল্লি এসেছেন ময়দানে। তারা সবাই তাদের জন্য নির্ধারিত কামরায় অবস্থান নিয়ে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল রয়েছেন।বুধবার সকালে বিশ্ব ইজতেমা ময়দান পরিদর্শন শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, বিশ্ব ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তা প্রদানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। বিদেশি মেহমানদের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। বিদেশি মুসল্লিরা যাতে নির্বিঘ্নে ও সুন্দরভাবে ময়দানে আসতে পারেন সেজন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছেন।বিশ্ব ইজতেমা আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরব্বি প্রকৌশলী মো. মাহফুজ হান্নান জানান, ইতোমধ্যে ইজতেমা ময়দানের প্রস্তুতির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রথম পর্বে অংশগ্রহণকারী দেশ-বিদেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ময়দানে স্ব-স্ব খিত্তায় এসে অবস্থান নিচ্ছেন। ইতোমধ্যে ভারত ও পাকিস্তান থেকে বিপুল পরিমাণ মেহমান ময়দানে হাজির হয়েছেন।
৪৫৫ পড়েছেন