• ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সুনামগঞ্জে শ্যালিকাকে নিয়ে উধাও দুলাভাই !

admin
প্রকাশিত মে ৪, ২০২৩
সুনামগঞ্জে শ্যালিকাকে নিয়ে উধাও দুলাভাই !

Sharing is caring!

সিলেট এইজ নিউজ : হরুফ আলী (২৮)। একে একে বিয়ে করেছেন দুটি। প্রথম স্ত্রীর দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে।এরমধ্যে প্রেমে করে আরেকজনকে নিয়ে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। সাত মাস আগে বিয়ে করে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে ঘরে তুলেন।ওই স্ত্রীও অন্তঃসত্ত্বা ৫ মাসের।কিন্তু তাতে কি হরুফ আলীর? এবার ঘরে থাকা ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রেখে ঈদের মার্কেটের কথা বলে শ্যালিকাকে নিয়ে নিয়ে উধাও হরুফ। এনিয়ে এলাকায় চরলছে তুমুল সমালোচনা। ঘটনাটি ঘটেছে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের আগুণ্ডেরা গাঁও গ্রামে।বিয়ের সাত মাস যেতে না যেতেই গর্ভবতী স্ত্রীকে ফেলে শ্যালিকাকে নিয়ে পালিয়েছে হরুফ আলী। এতে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নিয়ে বড় বোন সুজিনা বেগম পড়েছে বিপাকে। এ ঘটনায় রোকিয়া নিখোঁজ উল্লেখ করে দোয়ারাবাজার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের অক্টোবর মাসে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের আগুন্ডের গাঁও গ্রামের ফয়জুল ইসলামের মেয়ে সুজিনা বেগমকে বিয়ে করেন একই ইউনিয়নের পূর্ব ঘিলাতলি গ্রামের রিয়ান উল্লাহ’র ছেলে হরুফ আলী (২৮)। তাদের বৈবাহিক সূত্রে স্ত্রী সুজিনা ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। শ্যালিকা রোকিয়া বেগম (১৮) প্রেমের ফাঁদে ফেলে হরুফ আলী। গত ১৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় স্ত্রীকে তার নিজের বাড়িতে  রেখে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে আসেন হরুফ আলী। শ্যালিকা রোকিয়াকে নিয়ে ঈদের মার্কেটে যাওয়ার করার কথা বলে শ্যালিকাকে নিয়ে পালিয়ে যায়। এদিকে, মেয়েকে না পেয়ে পিতা ফয়জুল হক দোয়ারাবাজার থানায় মেয়ে নিখোঁজ উল্লেখ করে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। সূত্র জানায়, গত বছর শ্বশুড় ফয়জুল হকের স্ত্রীকে ধর্মের মা ডাকার মাধ্যমে তাদের বাড়িতে আসা যাওয়ার সুযোগ পায় হরুফ আলী। আসা যাওয়ার এক পর্যায়ে স্ত্রী সুজিনা সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয় তার।পরে গত বছরের অক্টোবর মাসে সুজিনাকে নিয়ে পালিয়ে কোর্ট ম্যারেজ করে। সুজিনা ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়।এদিকে বিয়ের ৭ মাস পার হতে না হতে শ্যালিকাকে রোকিয়াকে নিয়ে আবারও পালিয়ে যায় দুলাভাই হরুফ আলী। একসাথে দুই বোনকে নিয়ে এমন ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় হরুফ আলীর বাড়িতে সাংবাদিকরা গেলে তার বাড়িতে তালা ঝুলানো দেখা যায়। বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি।সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে হরুফ আলীর বাড়িতে জড়ো হয় গ্রামের লোকজন। এসময় গ্রামের লোকজন জানান, হরুফ আলী দুষ্টু প্রকৃতির লোক।সে এর আগে গ্রামে আরও একাধিক ঘটনা করেছে। এলাকার মেয়েরা তার ভয়ে একা বের হতে ভয় পায়। স্থানীয়রা জানান, স্ত্রী সুজিনাকে বিয়ে করার আগে হরুফ আলী পাশ্ববর্তী জাহাঙ্গীর গাঁও গ্রামের একটি মেয়েকে বিয়ে করেছিল।সেখানে দুটি ছেলে সন্তান জন্ম হওয়ার পর পর ওই স্ত্রীকে রেখে পালিয়ে বিয়ে করে সুজিনাকে। প্রথম স্ত্রীর সাথে তার মামলা চলমান রয়েছে। সুজিনা ও রোকেয়ার পিতা ফয়জুল হক জানান, তিনি ভিক্ষা করে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ৪ ছেলে ২ মেয়ে নিয়ে অতি কষ্টে দিনপাত করছেন। তার পরিবারের সাথে এমন ঘটনাকারীর বিচার চান। সুজিনা বেগম বলেন, ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা শিশু সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি চিন্তিত। আমি আমার স্বামীকে চাই। স্বামীর সুষ্টু বিচার চাই। এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মিজানুর রহমান বলেন, মেয়েটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এব্যাপারে দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেবদুলাল ধর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, হরুফ আলীকে পুলিশ খুঁজছে আটক করে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

৪৩৭ পড়েছেন