Sharing is caring!
আব্দুল হালিম সাগর: এসএমপির দক্ষিণ সুরমা থানায় এলাকায় রয়েছে প্রায় ১০ টি ভারতীয় তীর জুয়ার বোর্ড। সবচেয়ে বড় জুয়ার বোর্ডগুলোর মালিক আল আমিন ও নজরুল ইসলাম। তারা নিজেদের পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে জুয়ার বোর্ড পরিচালনা করে থাকে। তাই কোন ওসি বা আইসি গিয়ে বন্ধ করতে পারেনা নজরুল ও আল আমিনের জুয়ার বোর্ডগুলো। এক কথায় দক্ষিণ সুরমা এলাকায় ভারতীয় শিলং-এর তীর খেলাসহ বিভিন্ন ধরণের অপরাধ কর্মকান্ডে যেনো শেল্টার দিচ্ছে পুলিশ। দক্ষিণ সুরমা থানায় নতুন ওসি সামছুদ্দোহা যোগদান করার পর দু-চারদিন এসব জুয়ার বোর্ড বন্ধ হয়ে যায়। ফলে কমে আসে অপরাধ প্রবনতা। কিন্তু সম্প্রতি যেনো ডানা মেলে জুয়ার আসরের বিস্তার লাভ করে চলেছে। শিলং তীর জুয়ার পাশাপাশি টিকটিকী নামীয় আরেক জুয়া ও তিনতাস নামের জুয়া খেলার নিরাপদ ঘাটি এখন দক্ষিণ সুরমা।
এসব অপরাধ কর্মকান্ডের মুলহোতা হচ্ছে আল আমিন ও নজরুল। তারা নাকি পুলিশের সোর্স হিসেবেও কাজ করে। দক্ষিণ সুরমার চাঁদনীঘাটের মাছ বাজারের ভিতরে তীর খেলার মুলহোতা আল আমিন ও নজরুল। বিগত ২০১৮ সালে তৎকালীন এডিসি (বর্তমান এসপি) জেদান আল মুসার নেতৃত্বে রাত এই জুয়ার আসর থেকে আল আমিন ও নজরুলকে আটক করা হয়েছিলো। পরদিন তাদেরকে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আটককৃতদের সাজা প্রদান করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। নজরুল ও আল আমিন জেল থেকে বের হওয়ার পর দক্ষিণ সুরমা পুলিশ ফাঁড়িকে ম্যানেজ করে তাদের অপরাধ কর্মকান্ডে বেপরোয়া ভাবে সক্রিয় হয়ে উঠে। ফলে ৫ বছরে কোন দিন তাদের জুয়ার আসরে পুলিশ অভিযান চালায় নি অদৃশ্য কারণে।
এছাড়া বাবনা পয়েন্টের জিঞ্জির শাহ’র মাজারের পাশে ভাঙ্গাড়ী কাসেমের বিশাল জুয়ার আস্তানায় লক্ষ-লক্ষ টাকার জুয়া খেলা হলেও পুলিশ এসব চোখে দেখেনা। অভিযোগ আছে দক্ষিণ সুরমা থানাধীন কদমতলী পুলিশ সদস্যদের সাথে রয়েছে এই সকল জুয়াড়ীদের গভীর সুসম্পর্ক। তাই অভিযানের আগেই তাদের কাছে খবর চলে যায়। বিষয়গুলো নিয়ে বার বার লেখালেখি হলে দক্ষিণ সুরমা পুলিশ ফাঁড়ি বা থানা ভুলেও তাদের এসব জুয়ার আস্তানায় অভিযান চালায় না। অভিযোগ রয়েছে পুলিশ ফাঁড়ি প্রতিদিন এসব জুয়ার আসর থেকে বিভিন্ন হারে বখরা আদায় করে, ফলে জুয়াড়ীরা ব্যাপরোয়া।
৪০৭ পড়েছেন