• ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সিলেট নগরীর বন্দরবাজার মসজিদের পাশেই হোটেল নিরালা ও সিটি হার্ট যেনো দুটি মিনি পতিতালয়

admin
প্রকাশিত মে ১৬, ২০২৩
সিলেট নগরীর বন্দরবাজার মসজিদের পাশেই হোটেল নিরালা ও সিটি হার্ট যেনো দুটি মিনি পতিতালয়

Sharing is caring!

বিশেষ প্রতিবেদক: সিলেট নগরীর বন্দরবাজারের ঐতিহ্যবাহী জামে মসজিদ থেকে মাত্র ২০ গজ দূরেই পূর্বদিকে আবাসিক হোটেল ‘হোটেল নিরালা রেষ্ট হাউজ’র অবস্থান। ৫তলা বিশিষ্ট নীল কালারের এই হোটেলটি ৫ বছরে নাম বদল করেছেন তিন বার। ভাড়াটিয়া মালিকও বদল হয়েছেন একাধিক বার। শুধুমাত্র তাদের অপকর্ম আর অসামাজিক কার্যকলাপ নির্বিঘ্নেই করতেই এইভাবে নাম বদল। সর্বশেষ এই আবাসিক হোটেলটির নাম দিয়েছে ‘নিরালা রেষ্টহাউজ আবাসিক হোটেল’। তবে এটি আবাসিক হোটেল নামে হলেও পুলিশের তালিকায় ইহা একটি মিনি পতিতালয়। সম্প্রতি ডিবি অতিরিক্ত কমিশনার এসব হোটেলে মালিক ম্যানেজারকে ডেকে পাঠান নিজ দপ্তরে। সেই চিঠিতে উঠে আসে আবাসিক হোটেল নিরালার নাম। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উঠতি বয়সি মেয়েদের নিয়ে আসা হয় এই হোটেলে। পাশাপাশি কাজের ভুয়া পরিচয়েও সুন্দরী দুটি মেয়ে মেয়ে রাখা নিয়মিত। সারা সিলেটে সকল হোটেলের অসামাজিকতা বন্ধ হলেই নিরালা চলে নিবিঘ্নে। নিরালা রেষ্ট হাউজ আবাসিকের অসামাজিকতা বন্ধ হয়না অদৃশ্য কারণে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এই হোটেলে মেয়ে সাপ্লাই দেয় দালাল খলিল ও ইউসুফ। দালাল খলিল নগরীর কাজিটুলা এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দেহ ব্যবসায়ী মেয়েদের এনে তার বাসায় জমা করে রাখে। যে সকল হোটেল থেকে মেয়েদের চাহিদার অর্ডার আসে, সেই সব হোটেলে খলিল ও ইউসুফ নিজে মেয়েদের নিয়ে হাজির হয়। বিনিময়ে সে মেয়েদের ইনকামের তিন ভাগের এক ভাগ টাকার মালিক হয়।
অপর দিকে বন্দরবাজার হোটেল নিরালায় পরিচয় গোপন করে একাধিবার দেখা গেছে, এখানে টিকেট কেটে নিয়মিত দেহ ব্যবসার হাট বসিয়েছে হোটেল মালিক ও ম্যানেজার। মাত্র ২ থেকে ৩ শত টাকায় বিক্রি হয় এসব টিকেট। হোটেলের সামনে থাকে কয়েকজন দালাল তারা পথচারীকে টার্গেট করে বলে কিছু লাগবে কিনা। যদি পথচারী তাদের সেই ইঙ্গিত বুঝতে পারেন। তাহলে তিনি সেখানে খদ্দের হিসাবে যান। এভাবে একটি ঐহিত্যবাহী মসজিদের পাশে দেহ ব্যবসার মতো জগণ্যতম কাজ করলেও পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক। তবে এ প্রতিবেদক বিষয়টি থানা ও ফাঁড়ির পুলিশকে অবহিত করলে তাদের কার্যক্রমের উপরে ভিত্তি করে অভিযানের আশ্বাস প্রদান করেন।
অপরদিকে বন্দরবাজার পয়েন্টেই হোটেল সিটি হার্ট আবাসিক হোটেল । ঐ হোটেলের নিচ তলা ও ২য় তলা রয়েছে মোবাইল সামগ্রীর দোকান। ৩ তলা থেকে শুরু হয়েছে আবাসিক হোটেল। এই হোটেলটি ৬তলা বিশিষ্ট হলেও ২য় তলা পর্যন্ত মোবাইলের দোকান থাকায় উপরে নিরাপদে খোলে বসেছে মিনি পতিতালয়। খদ্দের কিংবা দেহ পসারনী মেয়েরা অবাধে প্রবেশ করেলে নিচ থেকে মনে হয় ২য় তলার মোবাইল দোকানে কাষ্টমার যাচ্ছে। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে ৩য় তলা থেকে থেকে যে আবাসিক হোটেল নামের পতিতালয় শুরু হয়েছে। সেখানেই আনা ঘোনা সহ যাওয়া আশা করে দেহ ব্যবসায়ী মহিলা ও খদ্দের। এই হোটেলে ও প্রতিদিন এক বা দুটি মেয়ে রেখে দেহ ব্যবসা করানো হয়। ব্যবস্থতম বন্দরবাজার পয়েন্টে এমন ব্যবসা ভাবিয়ে তুলছে সচেতন মহলকে। এই হোটেলে ও মেয়ে সাপ্লাই দেয় দালাল খলিল ও ইউসুফ। প্রতিদিন ভোরে নতুন-নতুন মেয়ে হোটেলে নিয়ে হাজির হয় দালাল খলিল বা ইউসুফ। দিনভর চলে দেহ ব্যসা রাতে দু-একটি মেয়ে রাখা হয় হোটেলে আগত বর্ডাদের মনোরঞ্জনের জন্য। নিচে পুলিশের গাড়ি দাড়ানো থাকলে নিবিঘ্নে চলে দেহ ব্যবসা। পুলিশের প্রতি টহল গাড়িকে নাকি মাত্র ৫ থেকে ৩ শত টাকা দিয়ে এসব হোটেলে নিরাপদে ব্যবসা করে বলে হোটেলের মালিক ও ম্যানেজার কাউকে পাত্তাই দেয়না । (বিস্তারিত সচিত্র আসছে )

৩৯৩ পড়েছেন