• ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

ওসমানীনগরে প্রেমিকার ‘প্রতারণায়’ প্রবাসীর আত্মহত্যা!

admin
প্রকাশিত মে ৩১, ২০২৩
ওসমানীনগরে প্রেমিকার ‘প্রতারণায়’ প্রবাসীর আত্মহত্যা!

Sharing is caring!

সিলেট এইজ : ওসমানীনগর সংবাদদাতা: পর্তুগাল প্রবাসী ওসমানীনগরের তরুণ নুরুল ইসলাম সাজু (২৫) সম্প্রতি আত্মহত্যা করেন। প্রেমিকার প্রতারণার কারণে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে পরিবার থেকে শুরু থেকেই অভিযোগ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় নিহত সাজুর মা আছিয়া বেগম বাদী হয়ে কথিত প্রেমিকা ও মাকে আসামি করে ওসমানীনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।সাজু ওসমানীনগরের দয়ামীর ইউপির খাগদিওর গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে। গত ১৬ মে তিনি পর্তুগালে আত্মহত্যা করেন। এরপর গত শনিবার রাতে লাশ দেশে পৌছালে পরদিন দাফন সম্পন্ন হয়।জানা যায়, গত প্রায় ৫ বছর আগে ওমানে পাড়ি দেন সাজু। এর পর সেখান থেকে গ্রীস হয়ে পর্তুগাল গিয়ে প্রায় ৩ বছর ধরে বসবাস করছেন। বিদেশ যাওয়ার আগ থেকেই পাশ্ববর্তী তাজপুর ইউনিয়নের দুরাজপুর গ্রামের তরুণীর (২০)সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পর্তুগাল থাকাবস্থায় সাজু প্রেমিকার পরিবারের সাথে আলোচনা করে ভিডিও কলের মাধ্যমে ওই তরুণীকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাকে সরাসরি পর্তুগালে নেয়ার ব্যবস্থা না থাকায় স্টুডেন্ট ভিসায় ইংল্যান্ডে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেন। উদ্দেশ্য ছিল ইংল্যান্ডে চলে গেলে সেখান থেকে লুৎফাকে পর্তুগালে নিয়ে যাবেন। এই উদ্দেশ্যে তরুণীকে আইইএলটিএস কোর্স করানোসহ প্রায় ১৪লাখ টাকা ব্যয় করে প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, এতকিছু করার পরও ওই তরুণী তার মায়ের প্ররোচনায় অন্য একজনের সাথে কন্ট্রাক্ট ম্যারিজের মাধ্যমে ইংল্যান্ডে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এবং এরপর থেকে তিনি ও তার মা সাজুর সাথে খারাপ আচরণ শুরু করেন। সাজু তার প্রেমিকার এই প্রতারণা সইতে না পেরে গত ১৬ মে বাংলাদেশ সময় ৩টার দিকে পর্তুগালে তার শয়ন কক্ষের গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
আইনি প্রক্রিয়া শেষে গত শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে সাজুর লাশ দেশে পৌছালে রবিবার সকালে তার দাফন সম্পন্ন হয়। লাশ দাফন করার পরদিন সাজুর মা বাদি হয়ে মা-মেয়েকে আসামি করে ওসমানীনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন( মামলা নং-২০)।সাজুর মা আছিয়া বেগম বলেন, আমার ছেলে সাজু ওই মেয়ে মোবাইল ফোনে বিয়ে করে। তাকে ইংল্যান্ডের নেয়ার জন্য আইএলটিএসসহ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করলে মেয়ে আমার ছেলের সাথে প্রতারণা করে। এমন প্রতারণার সইতে না পেরে আমার ছেলে আত্মহত্যা করে মারা গেছে। দোষীদের শাস্তির দাবিও জানান তিনি। ওসমানীনগর থানার ওসি মাছুদুল আমিন বলেন, সাজুর মায়ের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা রুজু করা হয়েছে।

৫৩০ পড়েছেন