Sharing is caring!
সিলেট এইজ : কাজল। বলিউড অভিনেত্রী। খুব বিশেষ দরকার বা প্রসঙ্গ ছাড়া সংবাদমাধ্যমকে তেমন পাত্তাই দিতে চান না। নিজের মেজাজে চলেন। ২৮ বছরের লম্বা অভিনয়ের জীবনে এসবের ব্যতিক্রম খুব একটা কখনও ঘটেনি। আর দুই মাসের মধ্যেই তিনি ৪৮ পেরিয়ে ৪৯-এ পা দেবেন। এরই মধ্যে ওটিটি মাধ্যমে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। ২৯ জুন ‘লাস্ট স্টোরিজ ২’ আর ১৪ জুলাই ‘দ্য ট্রায়াল’। এ দুটি কাজই নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাবে। ‘লাস্ট স্টোরিজ ২’-এর সম্প্রচার শুরুর আগে মুম্বাইয়ে সমকালের মুখোমুখি হলেন তিনি। ওটিটির প্রস্তুতি নিতে তিন বছর লেগে গেল?
আমেরিকান টেলিভিশন চ্যানেলের কোনো সিরিয়ালকে ভারতীয় টেলিভিশনের দর্শকের উপযুক্ত করে তৈরি করতে অনেক পরিবর্তন, ঘষামাজার দরকার হয়। মুখ্য চরিত্রগুলোকে নতুন করে গড়তে হয়। এসবের জন্য সময় লেগে গেছে। ‘দ্য ট্রায়াল’ বা ‘লাস্ট স্টোরিজ’-এর মতো শর্টফিল্মের সংকলনই হোক, কীভাবে নির্বাচিত করলেন এ দুটি জায়গায় নিজেকে? দ্য ট্রায়ালের মতো এত বহুমাত্রিক স্তরের, পরিণত বয়সের চরিত্র আমাকে প্রাথমিকভাবে আকৃষ্ট করেছে। আইনজীবী পেশায় থেকে এক বিবাহিত নারী ১৩ বছর পর পরিস্থিতির চাপে বাধ্য হয়ে নিজের লড়াই নিজেই করার জন্য সেই পেশাতেই ফিরে আসছে আবার। অভিনয় জীবনের এ রকম একটা সময়ে এসে এ ধরনের চরিত্র আমাকে আকৃষ্ট করেছে। আর মাধ্যম হিসেবে ওটিটি এখন খুবই জনপ্রিয়। একটা সময় টেলিভিশন এসেছিল, তেমনই বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে এই মুহূর্তে ওটিটি সাধারণ দর্শকদের খুবই আকর্ষণীয় মাধ্যম। সুতরাং এই নতুন প্ল্যাটফর্মে, নতুন আঙ্গিকে, নিজেকে নতুন করে আবিষ্কারের মধ্যে একটা অন্য রকম অনুভূতি আছে। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে কাজ করতে গিয়ে আরও ভালো করে বুঝেছি। ‘লাস্ট স্টোরিজ’-এর মতো সংবেদনশীল ওয়েব ফিল্মে নিজস্ব প্রযোজনা বলেই কি কাজ করলেন… নিজস্ব প্রযোজনা বলে নয়। একজন অভিনেত্রীর কাছে একটি চরিত্র সব দিক থেকে আকর্ষণীয় হয়ে উঠলে তবেই অভিনয় করে। আমারও তাই হয়েছে। ‘লাস্ট স্টোরিজ’-এর মতো এ রকম আবেগপ্রবণ, রহস্যময়ী, ছায়ায় ঘেরা চরিত্র সত্য কথা বলতে আগে আমি করিনি। সেদিনই একটা ইন্টারভিউতে বলেছিলাম, এই স্বল্পদৈর্ঘ্যে অভিনয়ের সময় ক্যামেরার সামনে নানা ধরনের রসিকতা করতে হতো। তা নিয়ে আমি হাসতে হাসতে শেষ! যার কারণে বকাও শুনেছি। আপনার নাম কাজল মুখোপাধ্যায়। বাংলা জানেন আপনি?
আমি বাঙালি আর মারাঠির মিশ্রণ। বাবা বাঙালি হওয়ায় বাংলা ভাষায় বলার পরিবেশে মানুষ হয়েছি ঠিকই। বুঝতে পারি সব, কিন্তু সব বাংলা বলতে পারি না। বাবা, কাকুমণি, জেঠুমণি, মাসিমা, পিসিমা– এগুলো ছোটবেলা থেকেই শিখেছি। মা মারাঠি হলেও খুব ভালো বাংলা বলতে পারেন। ছোটবেলা থেকে দুর্গাপূজা, দুর্গাপূজার ভোগ, বিজয়া দশমী, সিঁদুর খেলা সব দেখেছি এবং এতে অংশ নিয়েছি। এখনও অংশ নিই। সুতরাং ছোটবেলা থেকে জন্মসূত্রেই বাঙালিয়ানা আমার চারপাশ ঘিরে রয়েছে। (হাসি)
৩৭৪ পড়েছেন