Sharing is caring!
শাল্লা প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় সরকারী সড়ক দখলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে সাবেক ইউপি সদস্যসহ ২ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একজন উপজেলার কার্তিকপুর গ্রামের কাজু মিয়ার ছেলে সাবেক মেম্বার হাবিবুর রহমান (৪৫) ও অপরজন একই গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে হেলাল মিয়া (২৫)। এ ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। পরে সংঘর্ষ থামাতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ৪নং শাল্লা ইউনিয়নের সাতপাড়া বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শাল্লা উপজেলা কার্তিকপুর গ্রামের মুজিবুর রহমান এবং নিজাম উদ্দিন গ্রুপের লোকজনের মধ্যে সাতপাড়া বাজারে সরকারী সড়ক দখল করে ঘর তৈরী নিয়ে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষ নিয়ে বসে মিমাংসা করার চেষ্টা করে। এসময় উভয়পক্ষের লোকজন কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে পুলিশের উপরও হামলা করা হয়। এ সময় বুকে টেটাবিদ্ধ হয়ে হাবিবুর রহমান নামে একজন মারা যান। পরে হেলাল মিয়া (২৫) নামের অপরজন মারা যান। তবে হেলাল মিয়ার মৃত্যু নিয়ে ধু¤্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে, সংঘর্ষ চলাকালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে পুলিশ।
আহতদের মধ্যে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলিম উদ্দিন শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ছাড়া শাল্লা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আহত হাবিবুর রহমানকে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে বুকে টেটাবিদ্ধ অবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে হেলাল মিয়ার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। অন্য গুলিবিদ্ধ ও আহত ব্যক্তিদের নাম পরিচয় এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, সাতপাড়া বাজারে দু’পক্ষের সংঘর্ষে সাবেক মেম্বার নিহত হয়েছে। এছাড়াও পুলিশসহ অন্তত আরো ২০ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এই ঘটনায় এখনো অভিযোগ পাইনি পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৪২৬ পড়েছেন