• ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সিলেট-৫ আসনে কারা হচ্ছেন সংসদ সদস্য প্রার্থী

admin
প্রকাশিত জুলাই ১৩, ২০২৩
সিলেট-৫ আসনে কারা হচ্ছেন সংসদ সদস্য প্রার্থী

Sharing is caring!

আব্দুল হালিম সাগর বিশেষ প্রতিবেদন: বহুল প্রত্যাশিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সরব মাঠ-হাট। ডিজিটাল দুনিয়ার কল্পনাতীত ছোঁয়ায় নির্বাচনী আবহে নতুন মাত্রা যোগ করেছে সুস্যাল মিডিয়া। হরদম নতুন নতুন তথ্য নির্ভর আলোচনাও জমছে বেশ। ইনফরমেশন এখন সবখানে, প্রায় সব জনমানুষেও। তথ্যের বরাতেই চলছে রাজনীতিক আলাপ-আলোচনা। বিশেষ করে প্রার্থীদের ইতিবাচন বা নেতিবাচক তৎপরতা ভোটারদের নখদর্পনে। নির্বাচনের প্রার্থীতা নিয়ে এ আলোচনা হট কেক এখন। আলোচনার মধ্যে দিয়ে উঠে আসছে প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটের ৬টি আসনে আ’লীগ ও শরিক দল এমপিদের ঝুঁকির চিত্র। এমপিদের একটি অংশ দল ও সরকারের উচু অবস্থানে। তাদের নিয়েই আলোচনা এখন নিজ দল, বিরোধীদল সহ সাধারন ভোটারদের মধ্যে। একই সাথে তাদের টপকিয়ে দাপুটে ভ‚মিকায় অবর্তীন হয়েছেন নতুনরা। বিরোধী দল তথা বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা কৌশলে চালিয়ে যাচ্ছেন ভোট রাজনীতির কাজ। মাঠে তাদের আনাগোনা উল্লেখ্যযোগ্য না হলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দল ও বিভিন্ন স্তরের নাগরিকদের সাথে যোগাযোগ গড়ে তোলছেন। তাদের প্রার্থীরা প্রতিটি আসনে একাধিক। জাপার ২জন সাবেক এমপি রয়েছেন সিলেটে। তারাও বসে নেই। আসন সংখ্যা নতুন করে বাড়াতে না পারলেও ২টি আসন দখলে রাখতে দৃড় প্রত্যয়ী তারা । জামায়াতের ভোট ব্যাংক থাকলে প্রকাশ্যে মাঠে নেই প্রার্থী। দলীয় গন্ডিতে প্রার্থীতার জানান দিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার নিদের্শনা দিয়েছেন নেতাকর্মীদের। জাতীয় নির্বাচন কে নিয়ে এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মত বড় দুটি দলের মধ্যে তেমন কোন সাংগঠনিক তৎপরতা না থাকলেও জামায়াত আছে সোস্যাল মিডিয়ার ব্যাপক প্রচারণায়। দলগুলোর জেলা পর্যায়ের নেতাদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, আওয়ামীলীগ চলছে ছাটাঁই-বাচাই আর বিএনপি গণতন্ত্র ও অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন ও জামায়াত দলের অফিসিয়াল ডিক্লারেশন ছাড়াই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব রয়েছে। আগামী সংসদ নির্বাচন দেশের রাজনীতিতে বিশাল প্রভাব পড়বে। অনেক নতুন নতুন দল জন্মলাভ করেছে। জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল, প্রতীক নেই, বিএনপি জোট থেকে সরে দাঁড়ানো সব মিলিয়ে ভোটের হিসাব নিকাশ কোনদিকে মোড় নিবে তা নিয়ে ভোটারদের মধ্যেই চলছে আলাপ আলোচনাসহ নানা গুঞ্জন। ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপতি ও নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপ ও মতবিনিময় করেছেন। দেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় মহাজোট এবং বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট প্রায় দুই যুগ থেকে দলগত ভাবে নির্বাচন করে আসছে। সাম্প্রতিক কালে বিএনপির জোটে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। বিএনপির বড় অংশীদার জামায়াত জোট ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে এবং সারাদেশে বিভিন্ন আসনে নিজেদের প্রার্থীদের কৌশলে কাজ করতে বলেছে। সিলেট জেলার ৬ টি আসনের মধ্যে প্রায় সবকটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে কাজ শুরু করেছে জামায়াত। অপরদিকে বিএনপি সিলেটের প্রত্যেকটি আসনে তাদের হেভিওয়েট প্রার্থীদের গ্রীণ সিগনাল দিয়েছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচারণায় নেমে পড়েছেন সিলেট-৫ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থীরা। বিভিন্ন মাধ্যমের পাশাপাশি তাদের অনুসারীদের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। সিলেট-৫ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য হাফিজ আহমদ মজুমদার বয়সের ভারেক্রান্ত তাই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার প্রার্থী হওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে। বিগত নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হতে না চাইলেও দলীয় মনোনয়ন পেয়ে গেলে প্রার্থী হন তিনি। তিনি এ আসনের পর-পর তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। স্বজন ব্যক্তি হিসাবে সকলের কাছে পরিচিত থাকলেও সম্প্রতি সময়ে তিনি জনগণ থেকে প্রায় বিচ্চিহ্ন হয়ে আছেন। তবে এবারও গুঞ্জন রয়েছে এ আসনে মহাজোটে প্রার্থী হতে পারেন। গত নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা আলহাজ সেলিম উদ্দিন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও এবার মহাজোট না থাকলে পাল্টে যাবে সব হিসেব-নিকেশ। তবে সিলেট-৫ আসন ও সংসদীয় (২৩৩) জোটকে ছাড় দিতে নারাজ ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। বিগত একটি নির্বাচনে মহাজোটের বলি হয়ে এ আসনটি হাত ছাড়া হয় তাদের। সেখানে এমপি হন জাতীয় পার্টির প্রভাবশালী নেতা আলহাজ্ব সেলিম উদ্দিন। তবে এবার আ’লীগের মনোনয়ন যুদ্ধে মাঠে তৎপর মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সীমান্তিক এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ড.আহমদ আল কবির, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি ও সিলেট বিভাগীয় আইনজীবি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমদ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সাবেক তিনবারের চেয়ারম্যান দৈনিক দিনকাল পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক মস্তাক আহমদ পলাশ। উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম রানা, কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুর রকিবের পুত্র যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা সামছুজ্জামান বাহার। বিএনপির প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন, কানাইঘাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন (চাকসু মামুন) ও খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীর চাচাতো ভাই কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী, বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামিরা তানজিন চৌধুরী। অপর দিকে জামায়াতের সাবেক এমপি ফরিদ উদ্দিন চৌধুরীর স্থলে সিলেট জেলা উত্তর জামায়াতের আমির আনোয়ার হোসেন খান দলীয় মনোনিত প্রার্থী হচ্ছেন। জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মনোনিত প্রার্থী উবায়দুল্লাহ ফারুক। জাতীয় পার্টি থেকে সাবেক এমপি সেলিম উদ্দিনের নাম শোনা যাচ্ছে। সচেতন মহল মনে করেন জামায়াত অধ্যুষিত এ এলাকাটি দুর্বল প্রার্থীর কারণে হাত ছাড়া হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। জাতীয় পার্টি থেকে পার্টি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা বর্তমান সাংসদ ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ সেলিম উদ্দিন আবারো নির্বাচনে অংশ নেবেন। এছাড়া জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচন করতে তৎপর রয়েছেন পার্টির সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক ও জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাব্বীর আহমদ ও পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল মতিন চৌধুরী।

১,১৫৫ পড়েছেন