Sharing is caring!
স্টাফ রির্পোটার: সিলেট আলোচিত ঠিকাদার ডিএম ফয়সল এখন আত্মগোপনে। সিলেট ও ফেঞ্চুগঞ্জের বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়ে গাঁ ঢাকা দিয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানান। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর থেকেই এই শীর্ষ দূর্নিতীবাজ ডিএম ফয়সল পলাতক হয়ে যায়। সে ফেঞ্চুগঞ্জের পালবাড়ী নিবাসী তোতা মিয়ার ছেলে দিন মোহাম্মদ ফয়সল ( ডিএম ফয়সল)। সিলেটের বিভিন্ন ব্যাবসায়ী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সাবেক এমপি প্রয়াত মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মাধ্যমে সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতির পদ বাগিয়ে নিয়ে ছিলেন ডিএম ফয়সল। এরপর ফেঞ্চুগঞ্জ ফার্টিলাইজার কোম্পানীতে প্রভাব খাটিয়ে আধিপত্ব্য বিস্তার করেন। ফার্টিলাইজার কোম্পানীর ৬ হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট শুরু হলে তার ভাগ্য খুলে যায়। এমপির নাম ভাঙ্গিয়ে তিনি ঠিকাদারি শুরু করেন। অভিযোগে প্রকাশ, ঠিকাদারী পেয়ে প্রত্যেকটি কাজ থেকে ডিএম ফয়সল ১০% কমিশন নিতেন। এভাবে সে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। এখনও তিনি তার কোম্পানী কেরিং অব্যাহত রেখেছেন।
এদিকে ব্যবসার নামে বিভিন্ন সময় সিলেটের ব্যবসায়ী জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা ধার নিলেও সে টাকা আর ফেরত দেননি তিনি। তার কারনে সিলেটের অনেক ব্যবসায়ী নি:স্ব। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিলেটের একজন জনপ্রতিনিধি বলেন-ব্যবসার লভ্যাংশ দেয়া হবে এই বলে আমার কাছ থেকে প্রায় ৫ কোটি টাকা নেন ডিএম ফয়সল। কিন্তু এক সময় লাভ তো দূরের কথা মূল টাকা ফেরত দিতে তিনি টালবাহানা শুরু করে। এভাবে সিলেটের অনেকের টাকা তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন। এসব অবৈধ অর্থ দিয়ে এলাকায় বিলাশবহুল অট্রালিকা সহ স্থাবর অস্থাবর বিশাল সম্পত্তি গড়ে তোলেন। এছাড়াও তাঁর রয়েছে নামে বেনামে বিরাট সম্পদ । তার স্ত্রী সন্তানরা কানাডায় বসবাস করেন। কানাডার বেগম পাড়ায় রয়েছে তাঁর বাড়ী। বেশ কয়েকবার দুদুক ডিএম ফয়সলের বিরুদ্ধে তদন্ত করলেও সরকারী দলের প্রভাব খাটিয়ে পার পেয়ে যান তিনি। ছাত্রজনতার আন্দোলনের শুরু থেকেই তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছাত্রদের ব্যঙ্গ করে পোস্ট দিতেন। রাজাকারের বাচ্চা বলে গালি দেন। সর্বশেষ ছাত্রজনতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ৪ আগষ্ট কোর্টপয়েন্টে সিলেট আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠন অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে। সেই মিছিল সমাবেশে ডিএম ফয়সল অগ্রণীর ভূমিকায় থেকে ছাত্র ও সাংবাদিকের উপর গুলি চালান। পরদিন ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পরপরই বিক্ষুব্ধ জনতা তার খোঁজে সিলেট ও ফেঞ্চুগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে যায়। খবর পেয়েই সটকে পড়েন ডিএম ফয়সল। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় বর্তমানে ডিএম ফয়সল সিলেটের বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে লুকিয়ে দিনযাপন করছেন। জনরোষে পড়ার ভয়ে এখনো সিলেট ছাড়তে পারেনি তিনি। (চলমান)
২৫৬ পড়েছেন