Sharing is caring!
স্টাফ রির্পোটার: আশুলিয়ায় ডিভিশনাল স্পেশাল ব্রাঞ্চ ও স্পেশাল ব্রাঞ্চের (ডিএসবি ও এসবি) তিন পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। একটি মামলায় অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনকে ও ওপর মামলায় সংখ্যা উল্লেখ না করে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিকেলে আশুলিয়া থানায় ১৫০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন নিহত সোহেল রানার স্ত্রী রেশমা পারভীন। অপর মামলাটি দায়ের করেন নিহত এসবির এএসআই রফিকুল ইসলামের স্ত্রী রাব্বি আক্তার।
নিহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, ঢাকা জেলার ডিএসবি আশুলিয়া জোনে কর্মরত এএসআই সোহেল রানা ও এএসআই রাজু আহমেদ। অপরজন হলেন মালিবাগ এলাকায় কর্মরত এএসআই রফিকুল ইসলাম। তাকে ডিউটি শেষে আশুলিয়ার জিরানিবার এলাকার বাড়িতে ফেরার সময় আশুলিয়া থানা রোডের মাথায় পিটিয়ে হত্যা করে দুষ্কৃতকারীরা।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট সারা দেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে একদল অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারী দুপুর আড়াইটার দিকে আশুলিয়া থানা ঘেরাও করার চেষ্টা করে। এসময় গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের জন্য ভুক্তভোগী এএসআই সোহেল রানা আশুলিয়া থানাধীন বাইপাইল মোড়ে অবস্থান করছিলেন। ওই সময় পরিস্থিতি খারাপ দেখে তথ্য সরবরাহের পর জীবনের নিরাপত্তার জন্য সে থানার পাশে আফসার মন্ডলের বাড়ীর দ্বিতীয় তলার নিজ ভাড়া বাসায় চলে যায়। বিকেল ৪টার দিকে দুষ্কৃতিকারীরা থানা ঘেরাও করলে আতঙ্কে এএসআই রাজু আহমেদ, কনেস্টবল নাজমুল হক ও আতোয়ার হোসেন সহকর্মী সোহেল রানার বাসায় চলে যায়।
এজাহারে আরও বলা হয়, এরপর দুষ্কৃতিকারীরা থানায় তান্ডব চালানোর এক পর্যায়ে থানার আশপাশের এলাকায় বসবাসরত পুলিশ সদস্যদের বাসা খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে ১০০-১৫০ জন দুষ্কৃতকারী গেট ভেঙে ওই বাসায় ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদেরকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় সবাই মারা গেছে ভেবে দুষ্কৃতকারীরা চলে যাওয়ার পর কনস্টেবল নাজমুল হক ও আতোয়ার হোসেন সজ্ঞা ফিরে পেয়ে কৌশলে সেখান থেকে চলে যায়। এ সময় গুরুতর জখম এএসআই সোহেল রানার নিথর দেহ টেনে হিঁচড়ে বাসার নিচে নামিয়ে রেখে চলে যায় দুষ্কৃতকারীরা। তখন ওই বাসার ভেতরে এসআই রাজু আহমেদের লাশ পড়েছিল। এরপর সন্ধ্যা ৬টার দিকে দুষ্কৃতকারীরা আবারও ওই বাসার নিচ থেকে পুলিশ সদস্য সোহেলের লাশ থানার সামনে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। আর নিহত পুলিশ সদস্য রাজু আহমেদের লাশ থানা সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ফুটওভার ব্রিজের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, পুলিশ সদস্য হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়েছে।
৫৯ পড়েছেন