Sharing is caring!
বৃহস্পতিবার নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে ১৬ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৯ রান করে টাইগ্রেসরা। রান তাড়ায় নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১০২ রান করে স্কটল্যান্ড। ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ। এর ১০ বছর ও ১৬ ম্যাচ পর এলো এই জয়।
এক ম্যাচেই বেশ কিছু মাইলফলক ছুঁয়েছে বাংলাদেশ। নিগার সুলতানা জ্যোতির জন্য ম্যাচটি ছিল শততম।
এদিনই নাহিদা আক্তার বাংলাদেশের প্রথম নারী বোলার হিসেবে পেয়েছেন ১০০ টি-টোয়েন্টি উইকেট। এর আগে ব্যাটারদের কয়েকজনও রান পান। বাংলাদেশ দীর্ঘ অপেক্ষার পর পায় জয়।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪৩ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় বাংলাদেশ। ১৪ বলে ১২ রান করে মিড অনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান মুর্শিদা খাতুন, ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। এরপর সোবহানা মোস্তারির সঙ্গে ৪৬ রানের জুটি গড়েন ওপেনার সাথী রাণী।
তাদের জুটিতে ভর করে দলীয় পঞ্চাশ পেরোয় বাংলাদেশ। ৩২ বলে ২৯ রান করে ফ্রেসারের বলেই ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান সাথী। অনেকদিন ধরে রান খরায় ভোগা সোবহানা হাফ সেঞ্চুরি অবশ্য পাননি।
৩৮ বলে ৩৬ রান করে স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে যান সোবহানা। এরপর দলের হয়ে বাকি দায়িত্ব কাঁধে নেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। এক বল বাকি থাকতে আউট হন তিনি, ১৮ বলে করেন ১৮ রান।
রান তাড়ায় নামা স্কটল্যান্ডের প্রথম উইকেট তৃতীয় ওভারে নেয় বাংলাদেশ। ফাহিমা খাতুনের বলে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন সাসকিয়া হোর্লে। ১২ বলে ৮ রান করেছিলেন তিনি। এরপরও পাওয়ার প্লেটা ভালোই কাটছিল স্কটিশ মেয়েদের।
দলটির পক্ষে পুরো সময় প্রায় একই লড়েন ওপেনার সারাহ ব্রাইস। এর মধ্যে ফ্রেসারকে ফিরিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে নিজের শততম উইকেট পান নাহিদা আক্তার। প্রথম বাংলাদেশি নারী ক্রিকেটার হিসেবে এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি।
সারাহর লড়াই এরপর কাজে আসেনি। ৫২ বলে ৪৯ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়েছেন রিতু মণি।
ছয় ওভারে তারা তোলে ৩১ রান। যদিও মারুফার করা পাওয়ার প্লের শেষ বলে বোল্ড হন ক্যাথরিন ব্রাইস। ১১ বলে ১১ রান আসে এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে। এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়েছে স্কটিশরা।
২৩০ পড়েছেন