• ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

শেখ হাসিনাকে পাকিস্তানে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন-রাশেদ প্রধান

admin
প্রকাশিত নভেম্বর ১৭, ২০২৪
শেখ হাসিনাকে পাকিস্তানে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন-রাশেদ প্রধান

Sharing is caring!

শেখ হাসিনাকে পাকিস্তানে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান ।

রোববার (১৭ নভেম্বর) সকালে শফিউল আলম প্রধান মিলনায়তনে জাগপা আয়োজিত মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম ওফাত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

রাশেদ প্রধান বলেন, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হওয়ার প্রাক্কালে শেখ মুজিবুর রহমান নিজের নিরাপত্তার জন্য পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পাকিস্তান শেখ মুজিবুরের কোনো ক্ষতি করেনি, যুদ্ধ শেষে সুরক্ষিত অবস্থায় স্বাধীন বাংলায় ফেরত দিয়েছিল। যুদ্ধ চলাকালীন নয় মাস বাংলার মাটিতে বসে শেখ পরিবার পাকিস্তানের মাসিক ভাতা নিয়েছে। তাই পাকিস্তান শেখ হাসিনার জন্য নিরাপদ জায়গা। উন্নত দেশগুলো হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে রাজি নয়। কূটনৈতিক পাসপোর্টে ৪৫ দিন ভারতে থাকার মেয়াদ বহু আগেই শেষ হয়েছে। তাই শেখ হাসিনার উচিত হবে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য পাকিস্তান সরকারের দারস্থ হওয়া।

রাশেদ প্রধান বলেন, দূরদর্শী নেতা মওলানা ভাসানী আমাদের উপলব্ধি করিয়েছিলেন ভারতীয় আধিপত্যবাদ এবং আগ্রাসন রুখে দিতে হবে। পিন্ডির বিরুদ্ধে যুদ্ধ হয়েছে, দিল্লির গোলামি করার জন্য নয়। প্রকৃত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের যুদ্ধ আজও চলছে। ভাসানীর আদর্শে উদ্দীপ্ত হয়ে ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সবাইকে লড়াই করতে হবে।

ভাসানী স্মরণে তিনি বলেন, মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী তার সারা জীবন দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করেছেন। স্বাধীনতার প্রয়োজনীয়তা সর্বপ্রথম উপলব্ধি করে ভূমিকা রেখেছিলেন ভাসানী। দলীয় স্বার্থে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা বাংলার মাটি থেকে ভাসানীর নাম-নিশানা মুছে ফেলার জন্য হাজারো চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস আজ বাংলার তৌহিদী জনতা শেখ মুজিবুরের নাম-নিশানা-মূর্তি নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে এবং সম্মানের সঙ্গে স্মরণ করছে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীকে। স্পষ্ট ভাষায় সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। স্বাধীন বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা মুজিব নয়, মওলানা ভাসানী।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, মো. হাসমত উল্লাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম রওশন আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবুল, ঢাকা মহানগর সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম হাসু, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, জাগপা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুর রহমান ফারুকী, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র সরকার, মনোয়ার হোসেন, দিদার হোসেন, মো. বাবুল, জনি নন্দী, পাবেল সরকার, মো. হাসান, আল আমিন প্রমুখ।

২৩ পড়েছেন