Sharing is caring!
জকিগঞ্জে বৈধভাবে লিজ নেওয়া জলমহাল দখলের অপচেষ্ঠায় লিপ্ত যুবলীগ নেতাদের অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন উপজেলার খলাছড়া গ্রামের আব্দুল মালিকের ছেলে ফেরদৌস আহমদ। জকিগঞ্জ পৌর যুবলীগের আহবায়ক শাহাব উদ্দিন শাকিল ও যুবলীগ নেতা জাকির গংরা বৈধভাবে লিজ নেয়া জলমহাল দখলের অপচেষ্ঠা ও মাছ চুরি করে উল্টো এখন অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এক প্রতিবাদ বার্তায় ফেরদৌস আহমদ বলেন, জকিগঞ্জ উপজেলার সদরপুর মৌজার দাগ নং ৬৯, ১৩২, ৬৮৭/১৩২, ৬৮৬/১৩২, ৬৯৬/৭৫, ৬৯৫/৭৪, ১৩১, ১, ১৩৬, ১০৯, ১১০ ও ১৩২/৬৮৬ এর যথাক্রমে ২.০৫ (তালনদী), ২.৪৮ (বিল), ৫২ (বিল), ৫২ (বিল), ১০ (আমন), ১৮ (আমন), ৮৭ (নদী), ৩.২০ (নদী), ১.১৫ (নদী), ৩.৩৫ (নদী), ১৯ (লায়েক পতিত) , ৫৪ (সাইল) রকম ভূমির মালিক মারুফ বখতিয়ার চৌধুরী, আবিদা সুলতানা ও মাহমুদ আহমেদ চৌধুরী তাদের পরিবারের পক্ষে চলতি ২০২৪ সালের ১ অক্টোবর ৩০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তিনামা সম্পাদন করে আমাকে ও আব্দুর রউফকে বন্দোবস্ত প্রদান করেন। তিনি বলেন, পতিত আওয়ামী লীগের দুর্নীতিবাজ নেতাদের সহযোগিতা নিয়ে জকিগঞ্জ পৌর যুবলীগের আহবায়ক শাহাব উদ্দিন শাকিল ও স্থানীয় সন্ত্রাসীরা দীর্ঘদিন ধরে এই জলমহাল অবৈধভাবে দখলের অপচেষ্ঠা চালিয়ে আসছে। তারা আওয়ামী শামনামলে বিভিন্ন সময় এসকল জলমহালের মাছ চুরি করে আসছিল। এমনকি গত অক্টোবরে আমরা লিজ নেওয়ার পরও তাদের অপকর্ম থেমে থাকেনি। স্থানীয় সন্ত্রাসীদের নিয়ে গত ৯ নভেম্বর যুবলীগ নেতা শাকিল ও জাকির গংরা জলমহালের প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার মাছ চুরি করে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে গত ১৭ নভেম্বর জকিগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়, যা পরে তদন্ত করে এফআইআর হিসেবে রেকর্ড করে জকিগঞ্জ থানা পুলিশ। এ মামলার খবর শুনে নিজেদের রক্ষা করতে যুবলীগ সন্ত্রাসী শাকিলের ভাই শাহ আলম বাদী হয়ে গত ২৫ নভেম্বর আদালতে একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে। ফেরদৌস আহমদ যুবলীগ নেতা শাকিল ও জাকির গংদের অপকর্মের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল একটি সুসংগঠিত রাজনৈতিক দল। বিএনপির সুনাম নষ্ট করতে ও স্বৈরাচার হাসিনার বিভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে দেশের অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা নানা অপকর্ম করে বিএনপির ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্ঠা করছে। বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনা আমলে তারা এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করেছিল। স্বৈরাচার হাসিনার পতন হলেও তার দোসররা এখন বহাল তবিয়তে আছে। তারা নিজেদের খোলস পাল্টিয়ে এখন বিএনপি ও জামায়াতের সমর্থক ও নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভে ব্যস্ত। অথচ দেখা যায় তারা বিভিন্ন সরকারের আমলে নিজেদের অবৈধ ফায়দা হাসিল করতে ঐ সরকার দলীয় লোক হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করে। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা নিজেরা বিভিন্ন সময়ে চাঁদাবাজি করলেও বর্তমান সময়েও তারা অপকর্ম করে দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে বিএনপি ও জামায়াতের উপর। বিএনপি ও জামায়াতের সুনাম নষ্ট করতে তারা নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। সম্প্রতি পৌর যুবলীগের আহবায়ক শাকিল ও জাকির গংরা পরিবারের লোকদের দিয়ে কান্দিবাড়ী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন করে জলমহাল দখলের অপচেষ্ঠা ও মাছ চুরির ঘটনা ভিন্নখাতে নিতে মিথ্যা অপপ্রচার করেছে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা শাকিল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন সময়ে ব্যবসায়ী ও পরিবহন শ্রমিকদের কাছে থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় করে এবং এ ব্যাপারে প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তারা অবগত আছেন। আনুমানিক ৫-৬ বছর আগে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে শাকিল নিজে থেকে দেড় মাসের মতো আত্মগোপনে চলে যায় এবং এলাকায় অপহরণ হয়েছে বলে গুজব ছড়ায়। পরবর্তীতে দেড় মাস পর আত্মগোপন থেকে বের হলে এলাকায় প্রশাসন ও বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে স্বীকার করে সে আত্মগোপনে ছিল। এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী যুবলীগ নেতা শাকিল ও জাকির গংদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান ফেরদৌস আহমদ।
১০৫ পড়েছেন