Sharing is caring!
সিলেট যথাযোগ্য মর্যাদায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে।জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-১-এর সামনে কালোব্যাজ ধারণ, জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
দিনটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে সকাল ১০টায় আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. ফয়সাল আহম্মদের সভাপতিত্বে এবং উপরেজিস্ট্রার আ ফ ম মিফতাউল হকের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর বলেন, এ ভূখণ্ডের মানুষ আন্দোলনে পিছপা হয় না। স্বাধীনতার পূর্বে এই অঞ্চলের মানুষ বড় বড় চাকরি পেত না। আন্দোলনে অনেক গুণী শিক্ষক ছিলেন। পাকিস্তানিরা যখন বুঝতে পারল ব্যর্থতা নিশ্চিত, তখন শুধু তারাই নয়, আরও অনেকেই টার্গেট করলেন বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করতে হবে।
তিনি বলেন, পৃথিবীর কোনো বিপ্লব নেই যাদের বিপ্লবের পিছনে কোনো পরাশক্তি ইন্ধন ছিল না। আমাদের শিক্ষার্থীদের বিপ্লবের পেছনে পৃথিবীর কোনো পরাশক্তি ছিল না। জুলাই বিপ্লবের মহানায়ক আমাদের শিক্ষার্থীরা।
জুলাই বিপ্লব নিয়ে তিনি বলেন, আমরা আরও হত্যাকাণ্ড দেখতাম যদি না আমাদের শিক্ষার্থীরা ৬ তারিখের আন্দোলন ৫ তারিখে নিয়ে আসত। আমাদের স্টেইজের অনেক শিক্ষক এই হত্যাকাণ্ডের টার্গেটে ছিলাম কারণ আমরা ছিলাম নিপীড়নবিরোধী শিক্ষক।
এ সময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে সব শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেন, প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. মো. আশরাফ সিদ্দিকী । আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. সাহাবুল হক এবং রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আব্দুল কাদির।
১১ পড়েছেন