Sharing is caring!
আজ ‘ধন্যবাদ’ জানানোর দিন বা ‘থ্যাংকস ডে’। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে যে মানুষগুলো আপনাকে সমর্থন দিয়েছেন, বিপদে যিনি বা যারা পাশে থেকেছেন, যে মানুষটি আপনার জীবনকে সুন্দর করে তুলেছেন আজ তাদের ধন্যবাদ দেওয়ার দিন।
একই সঙ্গে ধন্যবাদ দিন তাদেরও, যারা সীমাহীন কষ্টের সময় আপনাকে ছেড়ে গেছে। যারা অবহেলায়-অপমানে আপনাকে রক্তাক্ত করেছে বিভিন্ন সময়। কেননা, তারা অবহেলা না করলে, প্রত্যাখান না করলে আপনি আজ এ পর্যন্ত আসতে পারতেন না। সফল হতে পারতেন না। তাই আজকের দিনটি মিস করবেন না। তাকে বলুন, পাশে থাকার জন্য ‘তোমাকে ধন্যবাদ’।
সমাজের মানুষ প্রাচীনকাল থেকেই একে অপরের সঙ্গে নানাভাবে যোগাযোগ করে আসছে। মিশরীয়রা প্যাপিরাস শিটে লিখতেন এবং চীনারা কাগজে লিখতেন। তারা বন্ধুদের এভাবে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাতেন। ‘ধন্যবাদ’ শব্দটির উৎপত্তি ৪৫০ থেকে ১১০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে বলে মনে করা হয়। ১৪০০-এর দশকে ইউরোপীয়রা পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের সঙ্গে শুভেচ্ছা কার্ড বিনিময় শুরু করেন। ধারণা করা হয় তখন এসব কার্ডে ‘ধন্যবাদ’ বা ‘থ্যাঙ্কস’ লেখার প্রচলন শুরু হয়েছিল।
প্রতি বছর ১১ জানুয়ারি ‘তোমাকে ধন্যবাদ’ বা ‘থ্যাঙ্ক ইউ ডে’ পালন করা হয়। আদ্রিয়েন সু কুপারস্মিথ নামের যুক্তরাষ্ট্রের একজন ‘উদ্যাপন গুরু’র উদ্যোগে দিনটির চল হয়। ১৯৯৪ সালে তার ব্লগে ‘ধন্যবাদ দিবস’ পালনের ধারণা তুলে ধরেছিলেন তিনি। এই দিনটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, যে মানুষটি আমাদের জীবনকে সুন্দর করে তুলেছেন তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত। আর তা যদি বছরের শুরুতে হয়, তাহলে এর চেয়ে ভাল আর কী হতে পারে?
আজ পছন্দের মানুষকে লিখুন ‘তোমাকে ধন্যবাদ’। ফেসবুকের ইনবক্সে, কিংবা মেইলে তাকে শুভেচ্ছা জানান। কোনো বিশেষ দিনের কথা স্মরণ করিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে লিখুন ‘তোমাকে ধন্যবাদ’। ধন্যবাদ একটি জাদুকরী শব্দ। আর এটি মানুষের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।
ইউরোপীয়রা শুভেচ্ছা কার্ড ব্যবহার শুরুর অনেক পরে জার্মান লুই প্রাং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসিত হন। ১৮৭৩ সালের ক্রিসমাসে তিনি ম্যাসাচুসেটসের বোস্টনে শুভেচ্ছা কার্ড তৈরি ও বিক্রি করেন। ১৮৭৪ সালে তিনি পুরো যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিসমাস কার্ড তৈরি ও বিক্রি করেন। তারপর থেকে এগুলোর চাহিদা বাড়তেই থাকে। কিন্তু, ‘ধন্যবাদ’ বলার অভ্যাসটি ষোড়শ ও সপ্তদশ শতাব্দীর বাণিজ্যিক বিপ্লবের সময় শুরু হয়েছিল। তখন এটি মধ্যবিত্ত শ্রেণির মাঝে খুবই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ধীরে ধীরে অফিস থেকে শুরু করে দোকানেও ছড়িয়ে পড়ে। গত ৫০০ বছর ধরে এর ব্যবহার সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে।
৬ পড়েছেন