• ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সিসিক নির্বাচন : বজ্র অটুনি ফাক্কা ঘোড়ার রাজনীতি

admin
প্রকাশিত এপ্রিল ১৮, ২০২৩
সিসিক নির্বাচন : বজ্র অটুনি ফাক্কা ঘোড়ার রাজনীতি

Sharing is caring!

আব্দুল হালিম সাগর : আসন্ন সিলেট সিটি নির্বাচন ২০২৩ ইং। আগামী ২১ জুনের ভোটে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৩ মে। এবার নির্বাচন সরকারদলীয় আওয়ামী লীগের জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ। কারন সিলেট সিটিতে মেয়র পদে টানা দুটি নির্বাচনে জেতা বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী আবার ভোটে দাঁড়াবেন। তবে তিনি এবার বিএনপির প্রার্থী না হয়ে নাগরিক কমিটির ব্যানারে নির্বাচন করবেন এটা প্রায় নিশ্চিত। যদি আরিফুল হক চৌধুরী আবার নির্বাচনে দাঁড়ান, তাকে মোকাবিলায় নৌকা প্রতীক পাওয়া আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী কতটা সফল হবেন? পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশন মিলিয়ে তিন বার জয় পাওয়া প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান পরের দুইবার হোঁচট খান আরিফুলের কাছেই। এরমধ্যে বিশেষ করে ২০১৮ সালের ভোটে দলীয় কোন্দলের বিষয়টি সামনে আসে। কামরান দলের প্রশ্নাতীত সমর্থন পাননি বলে আলোচনা ছিল। সেই দ্ব›েদ্বর বিষয়টি এবারও আছে। প্রকাশ্যেই কয়েক ভাগে বিভক্ত সিলেট আওয়ামী লীগ। আনোয়ারুজ্জামানকে প্রার্থী করার পর দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েও অনেক নেতাই তাকে ‘বাইরের মানুষ’ বলছেন। দলকে এক করতে না পারলে ভোটে মাঠে প্রভাব পড়বে, এমন কথা বলেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতারাও। সবশেষ পাঁচটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ‘স্বয়ংক্রিয় পছন্দ’ কামরান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ২০২০ সালের ১৫ জুন। ফলে এবার নতুন কাউকে বেছে না নেওয়ার উপায় ছিল না। ক্ষমতাসীন দলে আগ্রহী প্রার্থীর অভাব পড়েনি। পরে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামানকে উপযুক্ত মনে করে দলের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড। আগামী ২১ জুনের ভোটে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৩ মে। তা বাছাই হবে দুদিন পর। ‘বাইরের লোক’ আনোয়ারুজ্জামান সিলেট সিটি নির্বাচনে কতটা সফল হবেন এবারের নির্বাচনে এমন প্রশ্ন থেকে যায়। নির্বাচনের মাস কয়েক আগে থেকেই মনোনয়নকে কেন্দ্র করে নগর আওয়ামী লীগ একাধিক ধারাতে বিভক্ত হয়ে পড়ে। গত ২২ জানুয়ারি থেকেই সিলেটে আগাম প্রচার শুরুর পর থেকেই আনোয়ারুজ্জামান ও তার সমর্থকরা মনোনয়নের ব্যাপারে দলের ‘সবুজ সংকেত’ পাওয়ার দাবি করতে থাকেন। এ নিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশী একাধিক নেতা ও সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। আনোয়ারুজ্জামান গত দুটি সংসদ নির্বাচনে সিলেট ২ আসন (ওসমানীনগর-বিশ্বনাথ) থেকে মনোনয়নের চেষ্টা করেছিলেন। সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সম্পাদক মÐলীর এক নেতা জানান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সিলেট আওয়ামী লীগে কোন্দল চরম পর্যায়ে রয়েছে। নগরের অনেক নেতাই চাচ্ছেন না বাইরের কেউ এসে নির্বাচন করুন। তার প্রশ্ন, “সিলেট-৩ আসনে লন্ডন প্রবাসী হাবিবুর রহমান হাবিব এমপি হয়েছেন। সিলেট ১ আসনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীও প্রবাসী ছিলেন। এখন সিটি নির্বাচনেও প্রবাসী তাহলে স্থানীয়দের রাজনীতি করে কী হবে! স্থানীয় নেতাদের ভবিষ্যৎ কী?” আনোয়ারুজ্জামান নগরে প্রচার শুরুর পর মেয়র প্রার্থী নিয়ে ‘বিভ্রান্তি না ছড়াতে’ নগর আওয়ামী লীগ বিবৃতিও দিয়েছিল। এক পক্ষে আছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের এক সাংগঠনিক সম্পাদক, মহানগর শাখার সহসভাপতি, যুগ্ম সম্পাদক, জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জেলা ও মহানগর যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা। আরেক দিকে আছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অনেক নেতাকর্মী। এ‘কোন্দল’ মেটাতে না পারলে নির্বাচনের ফলাফল কী হবে, তা নিয়ে শঙ্কিত নগর আওয়ামী লীগের সম্পাদকমÐলীর অনেকেই। এবারের ভোট হবে ইভিএমএ। প্রতিটি কেন্দ্রে থাকবে সিসি ক্যামেরা বসানো। হয়তো ব্যতিক্রম ধর্মী এক নির্বাচন দেখবে নগরবাসী। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন প্রায় ১০ জন হেভিয়েট নেতা, যারা মাঠে রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। দূর্দীনে দলের হাল ধরে ছিলেন। কিন্তু সকলকে টেক্কা দিয়ে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে গেলেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তাঁর বাড়ি সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায়। এর আগে সিলেট-২ আসনে এমপি হিসাবে নৌকার মনোনয়ন চেয়ে ছিলেন, যদিও শফিকুর রহমান চৌধুরী সেই বার দলীয় মনোনয়ন পান। আনোয়ারুজ্জামান অবশ্যই আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার একজন পরিক্ষিত সৈনিক, রাজনীতির মাঠে বিচরন রয়েছে তার। বিভিন্ন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী প্রকাশ্যে মাঠে কাজ করলেও, তিনি কিন্তু ভোটের মাঠের রাজনীতিতে একেবারে নবাগত। এটাই তার জীবনের প্রথম নির্বাচন। অপর দিকে দল ছেড়ে কৌশলী হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবেন সিসিকের বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। নির্বাচনী মাঠে যার রয়েছে টানা দুই বারের মেয়র পদে নির্বাচন করে বিজয়ী হওয়ার অভিজ্ঞতা। এক কথায় মাঠের পাকা একজন খেলোয়াড় আরিফুল হক চৌধুরী। বিগত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছিলেন সাবেক মেয়র ‘জনতার কামরান’। প্রয়াত নেতা বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের মৃত্যুর পর আওয়ামীলীগে আরিফুল হকের সাথে ভোটের মাঠে লড়াই করার জন্য তৈরী ছিলেন অনেকে। তাদের মধ্যে আসাদ উদ্দিন আহমদ আর আজাদুর রহমান আজাদ অন্যতম এবং ছিলেন বেশ আলোচনায়। বিগত নির্বাচনে কামরানের পাশাপাশি এই দুইজনও দলীয় মনোনয়ন চেয়ে ছিলেন। সেই সময় নেত্রী আসাদ উদ্দিন আহমদ ও আজাদুর রহমান আজাদকে ডেকে নিয়ে শান্তনা দিয়ে বলে ছিলেন আগামীতে বিষয়টি তিনি দেখবেন। এখন যেনো তারা কামরানের পক্ষে মাঠে কাজ করেন। আসাদ উদ্দিন ও আজাদুর রহমান নেত্রীর নির্দেশ পালন করে ছিলেন ঠিকই। কিন্তু ভিতরে ভিতরে অনেক ইদুর গর্ত করে রেখেছিলো সেই সময়। যা তারা কখনো কল্পনাও করতে পারেননি। ফলে পরাজয় মেনে নিতে হয়েছিলো হনতার কামরানকে। বঙ্গবন্ধু আদর্শের একজন সৈনিক হিসাবে সেদিন মনে অজান্তে কান্না করে ছিলাম, নিজ কর্মস্থলে বসে। একজন কলম সৈনিক হিসাবে ব্যক্তিগত একটি গভির সম্পর্ক ছিলো কামরান সাহেবের সাথে। কারণ তিনি সাংবাদিকদের খুব পছন্ধ করতেন। সেই তালিকায় ছিলাম আমি অদম। একজন সাদামনের মানুষের সাথে কত সুন্দর নিখোঁত বেইমানীর দৃশ্য আজও ভ‚লতে পারিনি। সে দিন কামরান সাহেবের চোখের পানিতে ছিলো অভিসাপ। যে সাপে আজ নিজেদেরকে কামড় দিয়েছে কিছু বেইমান নেতাদের। সেই সময়তো সামান্য দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার জন্য সুন্দরভাবে পরিকল্পনা মাফিক কামরানের সাথে-সাথে থেকেও বেইমানি করেছিলেন তারা। এবার তাদের অনেকের খাশেষ ছিলো নগর পিতা হবার। সেটা আর পুরন হলোনা। আনোয়ারুজ্জামান গুড়ে বালি ঢেলে দিলেন উড়ে এসে। তবে এবার সজাগ থাকতে হবে আনোয়ারুজ্জামানকে সে সব মানুষ গুলো থেকে। যারা কামরানের সাথে বেইমানি করেছিলেন, ‘নৌকা নৌকা’ বলে। আর রাতে আরিফের টাকায় হোটেলে বসে মিটিং করেছিলেন মোরগ পোড়া খেয়ে। সেই ছবিগুলো একনো রক্ষিত রয়েছে। কিন্তু আসাদ উদ্দিন ও আজাদকে দেওয়া সে কথা নেত্রী রাখতে পারলেন না, প্রবাসী নেতা আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর জন্য। যদিও আজাদ-আসাদ কখনো বেইমানি করেননি কামরানের সাথে। যেটি কামরান সাহেব নিজে বলে ছিলেন। কামরান সাহেব নিজে বলে ছিলেন আমার পথে আসাদ অথবা আজাদই হবে নগর পিতা। প্রয়াত সেই নেতার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেলো। সূত্রমতে, বিভিন্ন গোয়েন্ধা সংস্থাসহ সিটিএসবির রির্পোট-ই আনোয়ারুজ্জামানের ভাগ্য খোলে এবার। আনোয়ারুজ্জামানের বিরুদ্ধে কোন রকম অভিযোগ ছিলোনা গোয়েন্ধা রির্পোটে । কিন্তু বর্তমান সময়ে আওয়ামী লীগের যে দশজন মনোনয়ন চেয়েছিলেন, তাদের বলয় বা তারা কি ভাবছেন সিসিক নির্বাচন নিয়ে। তা বুঝা যাবে নির্বাচনের আগের দিন অথবা রাতে । পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে একটি প্রশ্ন জাগে মনে, প্রয়াত মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের মতো একজন সাদা মনের মানুষের সাথে যেমনটি হয়েছিলো সেই দশা কি হবে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সাথে। দিনে আনোয়ারুজ্জামান আর রাতে আরিফুল হক, এমনটা কি হবে এবারের নির্বাচনে? নাকি সকল বেধাবেধ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সিসিকের হারানো নগর পিতার আসরটি উদ্ধার করবে আওয়ামী লীগ। যদিও প্রথম দিকে আরিফুল হক চৌধুরী নির্বাচন করবেনা এমনটা শুনা গেলে অনেকে ফাঁকা মাঠে গোল দেবার স্বপ্ন দেখে ছিলেন অনেকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আরিফুল হক নির্বাচন করবেন জনগনের আরিফ হয়ে। এমনটা প্রায় নিশ্চত। তাহলে ফাঁকা মাঠে গোল দেবার স্বপ্ন শেষ। এখন হবে ভোটের লড়াই। একটি জরিপ মতে সিসিকের আসন বর্ধিত করার পূর্বে সিলেটে বাড়ী বা স্থায়ী বাসিন্ধা নন এমন ভোটার সংখ্যা ছিলো প্রায় ৭০ হাজার। যা কামরান ও আরিফুল হক চৌধুরী ভাগাভাগি করে পেতেন। কারণ সেই ভোট নিজের দিকে টানতে তাদের স্ত্রীরা বড় নিয়ামক হয়ে কাজ করতেন। কারন দুজনের পিতার বাড়ি ছিলো সিলেটের বাহিরে। এবার সিসিকের আরো ১২টি ওয়ার্ড বর্ধিত হয়েছে। ভোটার সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই অনুপাতে সেই ভোটার সংখ্যা লাখের কাছাকাছি। আরিফুল হকের মতো কি পারবেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী সেই ভোটে ভাগ বসাতে এমন প্রশ্ন থেকে যায়? যদিও আরিফুল হক নগর উন্নয়ন করতে গিয়ে অনেকের চক্ষুশুলে পরিনত হয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত সেটা কোন কাজেই আসবেনা কারণ জায়গামতো কুপ দিতে পারবেন না আনোয়ারুজ্জামান। আরিফুল হক নির্বাচনী মাঠের একজন পাক্কা খেলোয়াড়। কারন কাউন্সিলর থেকে নগর পিতার আসনে বসেছেন ভোটের মাঠে লড়াই করে। এক সময় কামরানের বিকল্প আরিফুল হক হলেও সময়ের সাথে সাথে আরিফুলের বিকল্প হয়ে উঠেন কামরান। কিন্তু এবার আরিফুলের বিকল্প একজন প্রবাসী। তাই অনেকে মজা করে বলছেন আনোয়ারুজ্জান প্রার্থী হওয়ায় আরিফুল হক নির্বাচন করলে বৈতরনী পার হওয়া তার জন্য অনেকটা সহজ হবে। কারন আরিফুল হক জানেন কোন ফুলে কোন দেবতা তুষ্ট হন। সেই প্রন্তা বেঁচে নিতে তিনি ভুল করবেন না। এদিকে আনোয়ারজ্জামান চৌধুরীর সাথে যে সকল নেতা মনোনয়ন চেয়েছিলেন তারা সকলেই ছিলেন মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয়। জেল, জুলুম, কারাভোগ করেছেন দলের জন্য সময়ের সুন্দর একটা সময় পার করেছেন দলের জন্য। সেই কর্মের মূল্যয়ন টাকা থেকে বঞ্চিত থেকে গেলেন তারা। তাই সময়ের পরিক্রমায় তাদের প্রত্যেকের নিজস্ব বলয় রয়েছে। যদি সেই সকল নেতা নিশ্চুপ হয়ে যান। তা হলে তাদের সেই সব বলয় নিষ্কিয় হয়ে যাবে মাঠে। যদিও নেতার নির্দেশ না পেলে, দায়সারা কর্মী হিসাবে থাকবেন তারা মাঠে। ফলে সেই প্রভাব পড়বে ভোটের মাঠে। কামরানের দশা হবে আনোয়ারুজ্জামানের ভাগ্যে । যদিও আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, সকল দলীয় ও ব্যক্তিগত বেধাবেধ ভুলে সকল নেতাকর্মীরা নৌকার হয়ে কাজ করবে। নৌকা আমার নয়, এটি বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার নৌকা। আমি নগর পিতা নয়, নগরবাসীর সেবক হতে চাই। কিন্তু আমরা সংবাদকর্মী হিসাবে পূর্বে অভিজ্ঞতার কথা এতো সহজে ভ‚লে যাই কি করে। নৌকার ব্যাজ দিয়ে ধানে শীল মারা নিজ চোখে দেখা স্মৃতি। আর বিকাল ৩ টার আগে জিন্দাবাজারের পাঁচভাই রেষ্টুরেন্টে মেয়র প্রার্থী কামরানকে নিয়ে ভুরি ভোজের পর বাসায় ঘুম পাড়িয়ে দেওয়ার কথাগুলো এতো সহজে কি ভুলা যায়। তবে শেষ অবধি লড়াইটা কোথায় গিয়ে ঠেকে তা অনুমান করা যাবে ভোটের দু-একদিন আগেই। সেই পর্যন্ত আমরা দর্শক হিসাবে অপেক্ষায় থাকতে হবে। তাইতো শেষ পর্যন্ত বলতেই হয় কবির ভাষায় বজ্র অটুনি ফাক্কা ঘোড়ার রাজনীতি।

৬৫২ পড়েছেন