• ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

হবিগঞ্জে কৃষক হত্যার অভিযোগে ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

admin
প্রকাশিত মে ৯, ২০২৩
হবিগঞ্জে কৃষক হত্যার অভিযোগে ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

Sharing is caring!

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জে কৃষক তোতা মিয়া হত্যা মামলায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসাথে দুইজনের যাবজ্জীবন ও ছয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ মে) বিকেল সাড়ে ৪টায় হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (১ম) মো. আজিজুল হক এ রায় প্রদান করেন। এ মামলার বাকী ২০ আসামীকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মৃত আলফু মিয়ার ছেলে সিজিল মিয়া (৪৪) ও বশির আহমেদ ভিংরাজ, মৃত চেরাগ আলীর ছেলে জিতু মিয়া (৬১), মৃত ফজল হোসেনের ছেলে শাহ আলম (৩৯) এবং মৃতু ছুরুক মিয়ার ছেলে ফজল মিয়া (৫৯)। যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন- মৃত আলফু মিয়ার ছেলে ইউনুছ মিয়া ও মৃত আ. ছোবহানের ছেলে আব্দুল্লাহ মিয়া (৫৩)। এছাড়া বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, আব্দুস শহীদ এর ৩ বছরের কারাদ, এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড, সাইফুল ইসলাম এর ৭ বছরের কারাদ- দুই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ বছরের কারাদণ্ড, শফিক মিয়া এর ৩ বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড, অমৃত মিয়ার ৩ বছরের কারাদণ্ড এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড, মাসুক মিয়ার ৩ বছরের কারাদণ্ড এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং আব্দুল কাইউম এর ৩ বছরের কারাদণ্ড এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া ওই মামলায় অপর ২০ আসামীকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে। হবিগঞ্জ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট মোহাম্মদ মুছা মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ২০১৪ সালের আগস্ট মাসের ১ তারিখ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার গোপায়া ইউনিয়নের দীঘলবাক গ্রামে আসামীগণ প্রকাশ্যে কৃষক তোতা মিয়াকে হত্যা করে। এ ঘটনার পরদিন তার ছেলে মো. আব্দুল কাইয়ুম বাদি হয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেন।মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ৩৩ জনকে আসামী করে আদালতে চার্জশিট প্রদান করে। এরপর ২৯ জন স্বাক্ষী এ মামলায় স্বাক্ষ্য দেন। এরই প্রেক্ষিতে আদালত মঙ্গলবার বিকেলে ওই রায় দেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শাহ আলম চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে বসতঘর নির্মাণ করলে স্থানীয় জনসাধারণ গ্রামের বিশিষ্ট মুরুব্বি তোতা মিয়ার কাছে সালিসের জন্য শরণাপন্ন হন। এতে শাহ আলম নামে একজনের প্ররোচনায় আসামীরা তোতা মিয়া ও অন্যান্যদের ওপর হামলা চালায়। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আঘাত করে তোতা মিয়াকে গুরুতর আহত করা হয়। এতে আরো বেশ ককেয়কজন আহত হয়। গুরুতর আহতাবস্থায় তোতা মিয়াকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যান্য আহতদের সিলেট এএমজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মো. নুরুজ্জামান এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে জানান, এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নিহত কৃষক তোতা মিয়ার পরিবার এতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সেই সাথে এ রায়ের মাধ্যমে হবিগঞ্জে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে এবং এই রায়ের ফলে জেলায় গ্রাম্য দাঙ্গা-হাঙ্গামা অনেকাংশে কমে আসবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

১৫৫ পড়েছেন