• ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হত্যা: আরও এক আসামি কারাগারে

admin
প্রকাশিত মে ১৬, ২০২৩
বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হত্যা: আরও এক আসামি কারাগারে

Sharing is caring!

সিলেট এইজ : বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাহিদ হাসান হত্যা মামলার আসামি মো. সিয়ামকে (২০) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে বগুড়ার সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুশান্ত সাহা এ আদেশ দেন। এসময় পুলিশের পক্ষ থেকে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে আগামী ২৩ মে শুনানির দিন ঠিক করা হয়। গ্রেপ্তার সিয়াম বগুড়া শহরের মালগ্রাম এলাকার মঞ্জু কসাইয়ের ছেলে। এর আগে সোমবার রাত ৮টার দিকে বগুড়া শিবগঞ্জের ধামাহার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১২। তিনি মামলার এজাহারভুক্ত ১০ নম্বর আসামিগত ৯ মে বগুড়া শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ হাসানকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার বাবা ঝন্টু ব্যাপারী বগুড়া সদর থানায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় ৪ থেকে ৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।মামলায় শহর বিএনপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রতনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও রতনের দুই চাচাতো ভাই মো. রবিন, মো. রনিসহ জুম্মান ও সিয়ামকে আসামি করা হয়েছে। মামলার বাকি আসামিদের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।গত ১৪ মে রাত ১১টার দিকে শহরের দত্তবাড়ি থেকে নাহিদ হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে আবদুস সামাদ (৩০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যার দিকে বগুড়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অনন্যা রায়ের আদালতে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। আবদুস সামাদ ফুলবাড়ি দক্ষিণপাড়ার জাহিদুল হকের ছেলে।পুলিশের দাবি, আবদুস সামাদ সরাসরি স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাহিদ হত্যায় জড়িত। মামলার এজাহারে আবদুস সামাদের নাম না থাকলেও ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে তাকে শনাক্তের কর হয়। বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী সমকালকে বলেন, আদালতে আবদুস সামাদের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে জানা যায়- ইট ও বালুর ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাহিদকে হত্যা করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি শরিফুল ইসলাম রতনের নেতৃত্বে এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়। এছাড়াও মামলার বাকি আসামি রবিন, রনি, জুম্মান ও সিয়াম এ ঘটনায় সরাসরি অংশ নেন।তিনি আরও বলেন, স্বীকারোক্তিতে আরও বেশকিছু তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তের জন্য এখনই প্রকাশ করা হচ্ছে না। জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।এর আগে গত ১০ মে মামলার ৯ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি ইমনকে বগুড়া সদর উপজেলার সাবগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।

৩৯৫ পড়েছেন