Sharing is caring!
সিলেট এইজ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, পৃথিবীর আর কোথাও রাষ্ট্রদূতরা দলবেঁধে মন্তব্য করে বেড়ায় না। আজ শুক্রবার দুপুরে সিলেট শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান শেষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্যকারীদের বয়কট করতে গণমাধ্যমকে ভূমিকা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘বিদেশিদের মন্তব্য গণমাধ্যম অতিপ্রচার করার কারণে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলে তারা মজা পায়।’
আব্দুল মোমেন বলেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৪০ জনের মারা যাওয়া নিয়ে একটা দেশও কথা বলেনি। আমাদের দেশে কে কি করল, সঙ্গে সঙ্গেই চিৎকার। এটি অভ্যন্তরীণ বিষয়ের ওপর হস্তক্ষেপ, যা জেনেভা কনভেনশনের ধারে-কাছেও নেই।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেলা শিল্পকলা একাডেমির সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। জেলা পর্যায়ে শিল্প-সংস্কৃতিতে সামগ্রিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৫জন গুণীশিল্পীকে প্রদান করা হয়েছে সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা পদক ২০২২। এতে মোট ৫টি ক্যাটাগরিতে ৫জন গুণীশিল্পীর হাতে সম্মাননা পদক, সম্মাননা চেক, সনদপত্র ও উত্তরীয় তুলে দেন মন্ত্রী।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট মো. নাসির উদ্দিন খান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিলেট জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা কালচারাল অফিসার অসিত বরণ দাশ গুপ্ত। আবৃত্তি শিল্পী রোহেনা সুলতানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সম্মাননাপ্রাপ্ত গুণীশিল্পীগদের পক্ষে অনুভূতি প্রকাশ করেন মিহির কান্তি চৌধুরী।
জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা ২০২২ পদক প্রাপ্ত গুণীশিল্পীরা হলেন মিহির কান্তি চৌধুরী (লোকসংস্কৃতি), পূর্ণিমা দত্ত রায় (কণ্ঠসংগীত), চম্পক সরকার (নাট্যকলা), জ্যোতি ভট্টাচার্য্য (আবৃত্তি) ও মো. মিনু মিয়া (যন্ত্রসংগীত)।
২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ইতোমধ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৪৪ জন গুণিব্যক্তি ও ১টি সাংস্কৃতিক সংগঠনকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা পদক প্রদান করা হয়।
৩৬৬ পড়েছেন