Sharing is caring!
বিনোদন রির্পোট: গানের আড়ালে যারা থাকে চিরোদিন আমি তাদের কথাই ভাবি! এমন ভাবনা নিয়ে গানের জগতে পা বাড়িয়ে দিয়েছেন সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা থানার কাশিপুর গ্রামের বাসিন্দা ফারুক মিয়ার মেয়ে মনি আক্তার উরফে লাভলী দেওয়ান। তিনি গানের ভুবনে নবাগত হলেও ইতি মধ্যে গান দিয়ে জয় করে নিয়েছেন দর্শকের মন। নিজের জীবনের ইচ্ছে একজন বড় মাপের বাউল শিল্পী হয়ে সুনামগঞ্জে বাউল ঐতিহ্যকে ধরে রাখা। পিতা মাতার সংসারে লাভলীরা চার বোন দুই। বোনদের মাঝে লাভলী দেওয়ার ৩য়। ছোট বেলা থেকেই গানের নেশায় পেয়ে বসে তাকে। সেই থেকে গানের ভুবনে লাভলীর পদযাত্রা শুরু। গ্রামগঞ্জের গানের আসর মাতিয়ে রাখাই লাভলীর কাজ। যেখানেই গানের ডাক সেখানেই লাভলী হাজির। মাজার কিংবা কোথায় গানের জলসায় ডাক পড়লেই লাবলী ছোটে যান আপন মনে গান গাইতে। লাভলীর অভাবের সংসার হলেও গান থেকে থাকে দূরে রাখতে পারেনি অভাব অনটন। লাভলীর পিতার নাম ফারুক মিয়া আর মাতার শাসন ভারন না মেনেই গানের ভূবনে লাভলীর এগিয়ে চলা। লাভলীর পুরো নাম মনি আক্তার গানের ভুবনে আদর করে ওস্তাদরা নাম দিয়েছেন লাবলী দেওয়ান। এখন তিনি সকলের কাছে লাভলী দেওয়ান নামেই পরিচিত। সিলেট শাহপরাণ মাজারে ওরসে কথা হয় লাভলীর সাথে। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে গানের ভুবনে আসার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। লাভলী যানান, নিজের ভিতরে থাকা প্রতিভাকে উজার করে দিতে চান দর্শকদের। গানি নিয়ে থাকতে চান বাকি জীবন। সুনামগঞ্জ জেলা বাউল গানের জন্য সারাদেশে বিখ্যাত লাভলীর স্বপ্ন সুনামগঞ্জ থেকে অনেক গুণি শিল্পীর জন্ম হয়েছে। আজ তারা দেশ বিদেশে বাউল-ফোন গানকে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, তিনিও সেই ধারাবাহিকতায় গান নিয়ে এগিয়ে যেতে চান অনেক দূর। তার জন্য তিনি দর্শকের ভালবাসা আর দোয়া চেয়েছেন।
৩৭৬ পড়েছেন