Sharing is caring!
স্টাফ রির্পোটার: সরকার পতনের সুযোগে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ ‘সাদা পাথর’ পর্যটনকেন্দ্র থেকে লুট করা হয়েছে কোটি কোটি টাকার পাথর। গত সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত শত শত ছোটবড় নৌকায় করে পাথর লুট করা হয়। তারা সরকার পতনের পর নিরাপত্তাহীনতার সুযোগ কাজে লাগায়। তবে খবর পেয়ে ছাত্র-জনতা পাথর লুটকারীদের তাড়িয়ে দেয়। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা সেখানে অবস্থান নেন। ফলে আপাতত রক্ষা পেয়েছে পর্যটনকেন্দ্রের ‘সাদা সোনা’-খ্যাত পাথর। পর্যটনকেন্দ্রের মূল আকর্ষণ সাদা পাথর। সীমান্ত থেকে বয়ে আসা স্বচ্ছ পানি সাদা পাথরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মিলিত হয় ধলাই নদীতে। পর্যটনকেন্দ্রটির পাথরের দিকে সবসময় দৃষ্টি থাকে পাথরখেকোদের। সরকারি নিষেধাজ্ঞা ও প্রশাসনের নজরদারির পরও প্রতিবছর মাঝেমধ্যে নানা কৌশলে লুট হয়ে আসছে সাদা পাথর। ভোলাগঞ্জ এলাকার বাসিন্দারা জানান, অল্প সময়ের মধ্যে ২০ কোটি টাকার পাথর লুট করা হয়েছে। এতে পাথরের স্তূপ খালি হয়ে গেছে। স্থানীয়রা ছাড়াও বিভিন্ন স্থান থেকে বাল্কহেড নৌকাসহ অসংখ্য বারকি ও ইঞ্জিনচালিত খালি নৌকা ভেড়ে পর্যটন এলাকায়। আজ সকালে পাথরলুটের দৃশ্য চোখে পড়ে অনেকের। ছাত্র-জনতা দুপুরে তাদের নিষেধ করে দেয়। এরপরও লুটকারীরা স্থান ছাড়েনি। বিকেল ৩টার দিকে আবারও তাদের তাড়িয়ে দেয় ছাত্র-জনতা। এর আগেই লাখ লাখ ঘনফুট পাথর তারা লুটে নেয়। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ছাত্র-জনতা মিলে পাথর লুটকারীদের তাড়িয়ে না দিলে পর্যটন এলাকা পাথরশূন্য হয়ে যেত। স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি জানান, এই এলাকায় কোটি কোটি ঘনফুট ছোটবড় পাথর ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। দেখলে মনে হয় কেউ তা বিছিয়ে রেখেছে। সেই পাথর নৌকাভর্তি করতে মাত্র ১০-১৫ মিনিট সময় লাগে। পুলিশ, আনসার ও বিজিবি না থাকার সুযোগে যে যার মতো করে লুটপাট শুরু করে। স্থানীয়দের অনেকে এসব পাথর নিয়ে আশপাশ এলাকায় নদীর চর কিংবা বাসাবাড়ির সামনে স্তূপ করে রেখেছেন। দূর-দূরান্ত থেকে এসেও লোকজন নৌকায় করে পাথর নিয়ে গেছে। একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, বাল্কহেডসহ বিভিন্ন ধরনের নৌকায় শত শত লোক পাথর ভর্তি করছে। কেউ নৌকায় পাথর ভর্তি করে চলে যাচ্ছে, কেউবা পাথর নিতে আসছে।
২৯৮ পড়েছেন