Sharing is caring!
স্টাফ রির্পোটার: শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সারাদেশে যে নৈরাজ্য এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চলছে তা প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি সংকট উত্তরণে দ্রুত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম প্রস্তাব করেছেন, জামায়াত তা সমর্থন করে কি না- প্রশ্নে শফিকুর রহমান বলেন, ‘আজকের এ পরিবর্তন ছাত্রদের ত্যাগের ফসল। তাদের অধিকার আছে এ ধরনের কিছু বলার। জামায়াতের সম্মতি নেওয়া তাদের দায়িত্ব নয়।’ মঙ্গলবার মগবাজারের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ‘যেখানেই দুর্বৃত্তপনা দেখবেন, তৎক্ষণাৎ প্রতিরোধ করতে হবে।’ জামায়াতের আমির বলেন,‘দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, পরিবর্তনের উষালগ্নে সুবিধাবাদী দুর্বৃত্ত গোষ্ঠী বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায়, প্রতিপক্ষের বাড়িঘর এবং ক্ষেত্রবিশেষে কিছু কিছু জায়গায় সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আঘাত করেছে। যাদের অন্তরে বিবেক মানবতা আছে, তারা এগুলো করতে পারে না। এখন থেকে যেখানে মানুষের বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা আছে, সেখানে জামায়াতের নেতাকর্মীরা পাহারাদারের ভূমিকা পালন করবে।’ লুটপাট-অগ্নিসংযোগকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের দাবি জানিয়েছেন শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, কোন ফাঁক-ফোকরে দুর্বৃত্তরা দুর্ঘটনা ঘটায় তা দুই-একটি সংগঠনের দ্বারা প্রতিরোধ অসম্ভব। আপামর জনগণকে স্বতঃস্ফূর্ত দায়িত্ব পালন করতে হবে। তাহলে দুর্বৃত্তরা দুঃসাহস দেখাবে না। দুর্বৃত্তদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে। তাদের ছাড় দেওয়া ঠিক হবে না।’ শফিকুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের জন্মগ্রহণকারী প্রত্যেকে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে গর্বিত নাগরিক। এখানে কেউ সংখ্যালঘু নয় এবং কেউ সংখ্যাগুরু নয়। কে সংখ্যালঘু- প্রশ্নটি অবান্তর। যেকোনো ধর্মীয় স্থাপনায় দুর্বৃত্তপনা মানবতাবিরোধী কাজ। সরকার জামায়াত নিষিদ্ধ করেছে, নিষিদ্ধ সংগঠন কীভাবে প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কার্যক্রম করছে- প্রশ্নে শফিকুর রহমান বলেন, সেই সরকার নিয়ে আর বলতে চাই না সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান, আ ন ম শামসুল ইসলাম, সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ ও আবদুল হালিম প্রমুখ।
৩১৯ পড়েছেন