Sharing is caring!
স্টাফ রির্পোটার: বৈষম্য বিরোধী ছাত্রআন্দোলনের ফলে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর আজ সোমবার মৌলভীবাজার জেলায় বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা-কর্মী বলেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর প্রচারিত হওয়ার পরপরই মিছিল নিয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানা, শ্রীমঙ্গল থানায় পৃথক ভাবে হামলা, অগ্নিসংযোগ ভাঙচুর করা হয়েছে। এরমধ্যে শ্রীমঙ্গল শহরের মিশন রোডস্থ সাবেক কৃষি মন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি ও জেলার একাধিক আওয়ামীগ নেতার বাড়ি, দোকানপাটে। এদিকে শ্রীমঙ্গল থানার ভেতরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় এবং পুলিশের হামলা চালানো হয়। পুলিশ আত্মারক্ষার্থে টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে এতে শতাধিক আন্দোলনকারী যুবকরা আহত হন। একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আজ বেলা চারটার দিকে শ্রীমঙ্গল শহরের মৌলভীবাজার সড়কে অবস্থিত থানায় আগুন ও ভাঙচুর করা হয়। একইভাবে মৌলভীবাজার মডেল থানায়। শ্রীমঙ্গল জালালিয়া সড়কের বাসিন্দা ছাত্রলীগ নেতা নোমান খান জানান, কতিপয় লোকজন আমার দোকানের মালামাল লুটপাট করেছে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের বিষয়ে জানতে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমানের মুঠোফোনে কল করলে তিনি কেটে দেন। পরে শ্রীমঙ্গল থানার ওসি বিনয় ভূষণ রায় বলেন, শটগান দিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়েছি। তবে আমরা কোন গুলি করেনি। তিনি আরও বলেন, আন্দোলনকারীর হামলায় থানার ৫ পুলিশ আহত হয়েছেন। অপরদিকে খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল পৌরসভার মেয়র মহসিন মিয়া মধু ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, নাগরিক পরিষদের আহবায়ক মোছাব্বির আল মাসুদ গণমাধ্যম কর্মীরা আন্দোলকারীদের সরিয়ে দেন।
১১৯ পড়েছেন