• ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

মলা ও গুলি বর্ষণের মামলায় ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি গ্রে প্তা র

admin
প্রকাশিত অক্টোবর ৩১, ২০২৪
মলা ও গুলি বর্ষণের মামলায় ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি গ্রে প্তা র

মলা ও গুলি বর্ষণের মামলায় ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি গ্রে প্তা র

Sharing is caring!

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও গুলি বর্ষণের মামলায় জেলা ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান হাফিজকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

হাফিজুর রহমান শহরের বিনোদপুর এলাকার বাসিন্দা। তাকে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে শহরের ভবানীপুর রেল কলোনির বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও গুলি বর্ষণের অভিযোগে গত ৩০ আগস্ট রাজিব মোল্লা নামে এক শিক্ষার্থী বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা করেন।

মামলায় রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সাবেক সভাপতি কাজী কেরামত আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, কাজী ইরাদত আলীর ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক কাজী রকিবুল হাসান শান্তনু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ রাজিব, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান মিয়া সোহেল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শাহিন শেখ ও রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র আলমগীর শেখ তিতুসহ ১৭০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০ জনকে আসামি করা হয়।

সদর উপজেলার মাটিপাড়ার কাউরিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাক মোল্লার ছেলে ও রাজবাড়ী সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র রাজিব মোল্লা মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, সারা দেশের মতো রাজবাড়ীতেও কোটা সংস্কার আন্দোলন দমন করতে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন।

গত ১৮ জুলাই বিকেল ৩টার দিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র, অভিভাবক ও শিক্ষকরা রাজবাড়ী শহরের বড়পুল মোড়ে অবস্থান নেন। বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে পূর্ব পরিকল্পনা মতো আসামিরা দেশীয় অস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালান।

আসামিরা আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে দেননি। আসামিদের আক্রমণে সোনিয়া আক্তার স্মৃতি, নুরুন্নবী, আশিক ইসলাম অভি, রাজিব মোল্লা, মেহেরাব, আলতাফ মাহমুদ সাগর, উৎস সরকার, রিয়াজসহ অসংখ্য আন্দোলনকারী আহত হন।

সেই সময়ের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলীর নির্দেশে আন্দোলনকারীদের হত্যার উদ্দেশে বোমা নিক্ষেপ ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করা হয়। এছাড়া আন্দোলনকারীদের বেধড়ক মারধর করে গুরুতর জখম করা হয়।

রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, রাজিব মোল্লার দায়ের করা মামলায় তদন্তে প্রাপ্ত আসামি হিসেবে হাফিজুর রহমান হাফিজকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

৩৫ পড়েছেন