Sharing is caring!
জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসি, সিলেট কর্তৃক মাসিক পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স শনিবার (৩০ই নভেম্বর) সকাল ১০টায় চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, সিলেট-এর কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সিলেটের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আ.ন.ম. ইলিয়াস এর সভাপতিত্বে আয়োজিত এই কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা ও দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান। বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দসহ আরও উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার, ১৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক , সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের প্রতিনিধি, ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, বিজ্ঞ পাবলিক প্রসিকিউটর, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির বিজ্ঞ সাধারণ সম্পাদক, সকল থানার অফিসার ইন-চার্জগণসহ বিচার কাজে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রতিনিধিবৃন্দ।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসমা জাহানের সঞ্চালনায় এই কনফারেন্সে প্রসেস জারি ও তদন্ত প্রতিবেদন প্রদান সংক্রান্ত বিষয়ে পরিসংখ্যান পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নূসরাত তাসনিম। মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় ত্রুটি-বিচ্যুতিসমূহ সম্পর্কে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বক্তব্য উপস্থাপন করেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ধ্রুব জ্যোতি পাল। উপস্থিত অতিথিবৃন্দ ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় নিজেদের ভূমিকা, বিদ্যমান সমস্যাসমূহ ও তার সমাধান নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করেন।
এই কনফারেন্সের প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, সাক্ষ্য গ্রহণ করে রায়ের মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তির পাশাপাশি ফৌজদারি মামলার তদন্ত এমন সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে হবে যাতে দোষী ব্যক্তি পূর্ণাঙ্গ বিচারের শুরুতেই অপরাধ স্বীকার করবে। এই কনফারেন্সের সভাপতি ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার বিভিন্ন বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করে ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে গতিশীল ও জনবান্ধব করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে পেশাদারিত্বের সাথে নিজ নিজ দ্বায়িত্ব পালন করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করে কনফারেন্সের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
৪১ পড়েছেন