Sharing is caring!
ডেস্ক রির্পোট: সিলেট নগরীর রাস্তা ও ফুটপাত হকারমুক্ত করতে উদ্যোগের অভাব ছিলনা। কয়েক কোটি টাকা খরচ করে হকার পুনর্বাসনের জন্য লালদীঘিরপারের মাঠে করা হয় মার্কেট। যোগাযোগের সুবিধার জন্য প্রসস্থ্য করা হয় যাতায়াতের রাস্তা। কুদরত উল্লাহ মার্কেটের দোকান ভেঙ্গে বিকল্প রাস্তাও করে দেয়া হয়। তবুও কিছুতেই রাস্তা-ফুটপাত ছাড়ছেন না হকার। বরং দিন দিন বেড়েছে হকারের সংখ্যা। বাড়ছে যানজট। সিলেট সিটি কর্পোরেশন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও হকার ঐক্য কল্যাণ সমিতি সবাই কাজ করলেও আসছেনা সমাধান। সদ্য সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর শেষ সময়ে কয়েক মাস নগরীর রাস্তা ও ফুটপাত হকার মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। কিন্তু ৫ আগস্টের পর বদলে যায় দৃশ্যপট। ফের রাস্তায় নামে হকাররা। নামকাওয়াস্তে অভিযানে কিছু সময় খালি হলেও ঘন্টাখানেক পর আবারো স্ব-অবস্থানে ফিরে আসেন হকাররা। এ নিয়ে জনমণে বিরাজ করছে ক্ষোভ।
সচেতন নাগরিকের প্রশ্ন, হকার সমস্যার আসল সমাধান কার হাতে? সিসিক,পুলিশ-হকার নেতা-নাকি রাজনৈতিক নেতাদের হাতে। একা আনোয়ারুজ্জামান হকার উচ্ছেদ করতে পারলে এখন কেন সবাই মিলে তা পারছেন না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরের রাস্তা-ফুটপাত হকারমুক্ত করতে সবচেয়ে বেশী ভুমিকা ছিল সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী’র। কখনো লাঠি হাতে আবার কখনো আদালতে মামলার দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। একটা পর্যায়ে হকারদের কাছে মূর্তিমান আতংক হয়ে উঠেছিলেন আরিফ। হকারদের পুনর্বাসনের বৃহৎ উদ্যোগও নিয়েছিলেন তিনি। নগর ভবনের পিছনে লালদীঘিরপাড় হকার মার্কেটকে ‘হলিডে মার্কেট’ করে দিয়েছিলেন। কার্যত সফলতা পায়নি তার এই উদ্যোগ। সেখানে বসাতে পারেননি হকারদের। নানা অজুহাতে পুনরায় সড়কে ছড়িয়ে পড়ে তারা। এজন্য তখন প্রশাসনের অসহযোগিতা ও হকারদের আওয়ামী মদদকে দায়ী করেছিলেন তিনি। একটা পর্যায়ে মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী প্রশাসনের সর্বোচ্চ শক্তি ব্যবহার করে হকারদের লালদীঘিরপারে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিলেন। আনোয়ারের প্রভাবের কারণে তৎকালীন হকার লীগ শেষ মেষ দমে যায়।
কিন্তু ৫ আগস্টের পর হকার নেতৃত্ব চলে এসেছে বিএনপি পন্থী হকারদের দখলে। যাদের পৃষ্টপোষক হিসেবে সাবেক মেয়র আরিফের নাম রয়েছে। সরকার বদলের সাথে নেতা পর্যায়ের কয়েকজন ছাড়া হকার লীগ এখন হকার দলে চলে এসেছে। শুধু তাই নয়, আরেক দল ‘বৈষম্যবিরোধী হকার ঐক্য পরিষদ’ নাম দিয়ে মাঠে নেমেছে। এদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারাও বিএনপি পন্থী। তাদের নেপথ্য মদদে বিএনপি নেতা রয়েছেন। এই নেতা আরিফ গ্রুপের বিপক্ষে রয়েছেন। জানা গেছে, ৫ আগস্টের আগে সিলেট মহানগর হকার ঐক্য কল্যাণ পরিষদের সভাপতি শ্রমিকলীগ নেতা রকিবের অধীনে ছিল হকার মার্কেট। সে সময় হকারদের রাস্তা ও ফুটপাত থেকে সরাতে তার নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা হতো। গত ৫ আগস্টের পরে এই পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হয়েছেন শ্রমিক দল নেতা আব্দুল আহাদ ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন খোকন ইসলাম। ফলে এখন তাদের নেতৃত্বেই চলছে হকার মার্কেট। কিন্তু তারা নেতৃত্ব নেয়ার পর রাস্তায় ও ফুটপাত ফের হকারদের দখলে চলে যাওয়ায় তাদের ভুমিকা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। এদিকে আব্দুল আহাদ-খোকনের নেতৃত্ব মানতে নারাজ বিএনপিপন্থী দাবীদার হকারদের আরেক পক্ষ। তারা গঠন করেছেন ‘বৈষম্য বিরোধী হকার ঐক্য পরিষদ’। ফলে দুইভাগে বিভক্ত হকাররা কার্যত হয়ে পড়েছেন নিয়ন্ত্রণহীন। হকার সমস্যার জন্য একপক্ষ অপরপক্ষকে দায়ী করছেন। যদিও দুইপক্ষই বিএনপির ২ নেতার আশীর্বাদপুষ্ট। আর বিএনপির দুই গ্রুপের অর্ন্তদ্বন্দ্বের কারণেই হকার সমস্যা দিন দিন প্রকট হচ্ছে।
বিগত ৫ আগষ্টের পর থেকে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেখা গেছে, সিলেট নগরীর তালতলা থেকে শুরু করে সুরমা মার্কেট পয়েন্ট-বন্দরবাজার-জিন্দাবাজার-চৌহাট্টাসহ নগরীর অধিকাংশ ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে পসরা সাজিয়ে বসেছে তারা। রাস্তা-ফুটপাত হকারদের দখলে চলে যাওয়ায় এর চরম মূল্য দিচ্ছেন সাধারণ নগরবাসী। ফুটপাতে স্বাভাবিক হেঁটে চলার কোনো উপায় নেই। ২০ ফুটের রাস্তার ১০ ফুট চলে গেছে হকারদের দখলে। নগরীর ফুটপাত ও রাস্তার পাশাপাশি হকার পুনর্বাসনের জন্য নির্মিত লালদীঘিরপার মার্কেটেও ব্যবসা করছেন তারা। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সিলেট নগরীর তালতলা পয়েন্ট থেকে শুরু করে বন্দরবাজার পয়েন্টের রাস্তায় দুদিকে রিকশা ভ্যান ও ঠেলাভ্যান নিয়ে হকাররা দেদারছে বসে আছেন। বন্দরবাজার থেকে রংমহল টাওয়ারের রাস্তার পাশও চলে গেছে হকারদের দখলে। মধুবন মার্কেটের সামন থেকে জেলরোড, কোর্ট পয়েন্ট থেকে চৌহাট্টা পর্যন্ত সর্বত্রই হকারদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। হকারদের দৌরাত্ম্যের কারণে সংকুচিত হয়ে গেছে ফুটপাত ও রাস্তা, বেড়েছে যানজট। একই সাথে যত্রতত্র বেড়েছে সিএনজি অটোরিকশা পার্কিং। পুলিশের অনুপস্থিতি ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নিস্ক্রিয়তার সুযোগে নগরীর ফুটপাত ও রাস্তা দখলের প্রতিযোগিতায় নেমেছেন হকাররা। ক্রমেই বেপরোয়া হয়ে উঠছেন হকাররা। যদিও সিসিকের পক্ষ থেকে দিনের বেলায় নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান হয়। অথচ দিনের বেলা এমনিতেই হকাররা খুব একটা বসেনা। তখন রাস্তা-ফুটপাত খালি থাকে। তারা মুলত বিকেল থেকে সন্ধ্যার পরপরই রাস্তাজুড়ে নামে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২১ সালে হকার পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেন সিলেট সিটি করপোরেশনের তৎকালিন সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
ঐ বছরের জানুয়ারিতে নগরভবন-লাগোয়া লালদীঘিরপাড়ের খোলা মাঠে হকারদের জন্য অস্থায়ীভাবে পুনবার্সনের ব্যবস্থা করেন তিনি। কিন্তু ব্যবসায়ীরা বেশি দিন সেখানে থাকেননি। তার কারণ ছিল তাদের লাইটিং সমস্যা ও রাস্তা। ২০২১ সালে প্রাথমিক ভাবে নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১ হাজার ৭০ জন হকারকে পুনর্বাসন করা হয়। তবে বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ভেস্তে যায় হকার পুনর্বাসনের এ উদ্যোগ। সিসিক নির্মিত অস্থায়ী মার্কেটে হাতেগুণা কয়েকটি দোকান ছাড়া আর বসেন না কেউ। উল্টো নগরের ফুটপাত ছাপিয়ে সড়কেরও বহুলাংশ দখল নিয়েছিলেন তারা। ফলে দিনভর নগরে লেগে থাকতো যানজট। এরপর গেল বছর সদ্য সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর ফের নগরীর ভ্রাম্যমাণ হকারদের স্থায়ীভাবে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেন। কোটি টাকা ব্যয়ে নগর ভবনের পাশের লালদীঘিরপাড় এলাকায় অস্থায়ী বিপণিবিতান (মার্কেট) নির্মাণ করা হয়। সেখানে মাটি ভরাট, ইটের সলিং, বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবস্থাসহ সবকাজ শেষে চলতি বছরের ১০ মার্চ ৩য় বারের মতো হকারদের নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে হকার পুনর্বাসন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। ঐ দিনই স্থানটি হকারদের ব্যবসার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এসব দোকানে আড়াই থেকে তিন হাজার হকারকে একসঙ্গে বসে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া হয়। তখন সিসিক কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন হার্ডলাইন থাকায় বাধ্য হয়ে ফুটপাত ছেড়ে নতুন ঠিকানায় চলে যান হকাররা। এরপর থেকে কয়েক মাস নগরীর রাস্তা-ফুটপাত হকারমুক্ত ছিল।
কিন্তু ৫ আগস্টের গণ অভ্যুত্থানের পর ফের বদলে গেছে দৃশ্যপট। এ ব্যাপারে সাবেক সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, হকার সমস্যা সমাধানে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। রাস্তা-ফুটপাত দখলমুক্ত করা শুধু পুলিশ বা প্রশাসনের দ্বারা সম্ভব না। এজন্য প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ। আমি লক্ষ্য করেছি বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগীরা হকার সংগঠনের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়তারা করছে। এক সময়ের হকার্সলীগ এখন হকার্স দলে পরিণত হয়েছে। হকার পুনবার্সনের প্রথম ও বৃহৎ উদ্যোগ আমার পরিষদ নিয়েছিল। এখনো সিসিক কোন উদ্যোগ নিলে আমিও পাশে থাকবো। এজন্য প্রশাসনের পাশাপাশি সর্বদলীয় নাগরিক উদ্যোগ নিতে হবে। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরেও পড়েছে। সিলেট নগরীর হকার সমস্যাটা অনেক পুরনো। আমি মাত্র কয়েকদিন হয় যোগদান করেছি। শীঘ্রই পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে এ বিষয়টি নিয়ে আলাপ হবে। কারণ সিটি কর্পোরেশনের একার পক্ষে রাস্তা-ফুটপাত দখলমুক্ত করা সম্ভব নয়। সম্মিলিত নাগরিক উদ্যোগের মাধ্যমে হকার সমস্যার সমাধান করতে হবে। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, রাস্তা ও ফুটপাতমুক্ত রাখতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে অভিযানের পরপরই হকাররা ফের রাস্তায় নেমে আসে। দিনরাত দাঁড়িয়ে রাখার মতো এত পুলিশ আমাদেরও নেই। একদিকে অভিযান চললে অপরদিকে হকাররা বসে পড়ে। এরপরও আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এ ব্যাপারে আমরা আরো কঠোর হবো। সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সিসিকের সাবেক কাউন্সিলর ও সাবেক প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেন, দীর্ঘদিন সিটি কর্পোরেশনের জনপ্রতিনিধি থাকায় খুব কাছ থেকে হকার সমস্যাটা দেখে এসেছি। হকাররা সবসময়ই কখনো রাজনৈতিক দলের, কখনো ব্যক্তির কিংবা কখনো গ্রুপ ভারীর কৌশল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। হকার পুনর্বাসনের উদ্যোগ ভালো। কিন্তু তাদের জীবনমানের উন্নতি ও ব্যবসার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করাও সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব। এ ব্যাপারে শুধু একটি দলকে না টেনে সর্বদলীয় ও সুশীল সমাজের সমন্বিত উদ্যোগের বিকল্প নেই। সিসিককে শুধু উচ্ছেদে বল প্রয়োগ না করে হকারদের দাবি দাওয়ার বিষয়ে নজর দেয়া উচিত। রাস্তা-ফুটপাত দখল করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি কোন নাগরিক সমর্থন করেনা। আমিও ব্যক্তিগতভাবে হকারমুক্ত নগরীর পক্ষে। এ ব্যাপারে স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করা সময়ের অপরিহার্য দাবী।
সিলেট মহানগর জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, রাস্তা-ফুটপাত হকারদের দখলে থাকায় নগরীতে যানজটসহ নানা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা দেখেছি পুনর্বাসনের নামে দলীয় কতিপয় নেতাকর্মীদের চাঁদাবাজীর সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। রাস্তা-ফুটপাত হকারমুক্ত করতে চাঁদাবাজী বন্ধ করতে হবে। এর সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। হকারদের ন্যায্য দাবী শুনতে হবে। তাহলে নগরের রাস্তা-ফুটপাত হকারমুক্ত করা সম্ভব। এ ব্যাপারে হকার ঐক্য কল্যাণ পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল আহাদ বলেন, হকারমুক্ত রাস্তা ও ফুটপাত রাখতে কাজ করছি। পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় আমি বলে এসেছি মাঠে হকার রাখতে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। তবে রাস্তা দখলমুক্ত করতে পুলিশ প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে। এরপর থেকে আমি লালদীঘির পারে হকারদের ধরে রাখতে কাজ করছি। কিন্তু পুলিশের ভুমিকা না থাকায় হকাররা রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে বসে রয়েছে।
এছাড়া এদেরকে বৈষম্য বিরোধী হকার ঐ পরিষদ নামের সংগঠনটির নেতারাও ইন্ধন দিচ্ছেন। এ বিষয়ে ‘বৈষম্য বিরোধী হকার ঐক্য পরিষদ’ এর আহ্বায়ক রুহুল আমীন রুবেল বলেন, লালদীঘিরপার মাঠে ব্যবসার পরিবেশ ও শৃঙ্খলা নেই। আমরা আগেও বলেছি, এখনো বলছি, ঐ মাঠে ব্যবসার পরিবেশ ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে হবে। মার্কেটের সামনের দিকে কাপড়-চোপড় ও কসমেটিক সামগ্রীর দোকান এবং শেষের দিকে মাছ ও তরকারীর দোকানের ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে মার্কেটও জমে উঠবে। বর্তমানে রাস্তা ও ফুটপাতে যারা ব্যবসা করছেন তারা সকলেই মাছ ও তরকারি ব্যবসায়ী এবং আব্দুল আহাদের লোক। এদের সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই। আমরাও চাই একটা জায়গায় বসে ব্যবসা করতে। নগরবাসীর দুর্ভোগ সৃষ্টি করা আমাদের কাম্য নয়।
২২ পড়েছেন