Sharing is caring!
জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে অন্তর্র্বতী সরকারের সমালোচনা করে বক্তব্যের জেরে হামলার শিকার হয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে ফ্যাসিবাদ বিলোপ ও নতুন সংবিধানের দাবিতে সমাবেশ ডাকে সংগঠনটি। সেখানে এ ঘটনা ঘটে। আহত ফারুককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ফারুক হাসান তার বক্তব্যে অন্তর্র্বতী সরকারের কড়া সমালোচনা করে বলেন, ‘এই সরকারকে কোনোভাবেই মানা যায় না। যে সংবিধানকে ছুড়ে ফেলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে সেই সংবিধানকে কোনোভাবেই মানা যায় না।
জানা গেছে, জুলাই হত্যাকাণ্ডসহ বিগত ১৫ বছরের একাধিক হত্যাকাণ্ডের বিচার, ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বিপ্লবী সরকার গঠনসহ একাধিক দাবিতে নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ নামের একটি সংগঠন। অনুষ্ঠানে ফারুক হাসানকে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়।একে একে শহীদ পরিবারের সদস্যদের বক্তব্যের পর তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘অন্তর্র্বতী সরকার আমরা কখনোই চাইনি; চেয়েছি বিপ্লবী সরকার। কিন্তু ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর হেডকোয়ার্টার বঙ্গভবন থেকে যেই অন্তর্র্বতী সরকার এসেছে তা আমরা মানি না।’
এরপর তাকে বাধা দেন সেখানে উপস্থিত জনতা। পরে তিনি সমাবেশস্থল ত্যাগ করতে গেলে তার ওপর অতর্কিত হামলা করা হয়।
তবে এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ‘ছাত্রদল নয় বরং হামলা করেছেন জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের ব্যক্তিরা। আমি শাহবাগ থানায় যাচ্ছি। আগামী দুই ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে।
অন্যদিকে সমাবেশের আয়োজক সংগঠন জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সদস্য সচিব হাসান মো. আরিফ দাবি করেছেন, ‘কে বা কারা ফারুক হাসানের ওপর হামলা করেছে, তা তাদের জানা নেই।
আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগের সামনে ফারুক হাসান বলেন, ‘ঘটনাস্থলে ছাত্রদলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। আমি রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছি। আমার বক্তব্য সঠিক। কিন্তু ছাত্রদল আমার ওপর অতর্কিত হামলা করেছে। তারা আমার মোবাইল, মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়েছে।
২১ পড়েছেন